আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ বলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য তার (ওবায়দুল কাদের) কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার এই বক্তব্যে নোয়াখালীবাসী কষ্ট পেয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন একরাম চৌধুরী। বুধবার টেলিফোনে যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে এ দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
একরাম চৌধুরী বলেন, আমার কোনো বক্তব্যে আমার নেতা ওবায়দুল কাদের কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আর নোয়াখালীবাসী দুঃখ পেয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
গত বৃহস্পতিবার রাতে একরাম চৌধুরী ফেসবুক লাইভে এক ভিডিওতে বলেন, ‘আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তা হলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।’
একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, মির্জা কাদেরের চাচা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তাকে কাদের ভাইয়ের বাহিনী গুলি করে মেরেছে। তার বাবা ছিলেন মুসলিম লীগার। মির্জা কাদেরের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর কমান্ডার। মামা ছিলেন রাজাকার। তাদের পুরো বংশই ছিল রাজাকার। একটা রাজাকার বংশের লোক নিয়মিত ৩০০ সাংসদের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা নেই দলের ভেতর।
২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি ওই দিন রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে একরামুল করিমের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি প্রচারের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে নোয়াখালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। হরতালের ডাক দেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
এ ঘটনায় সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান একরাম চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মাকে নিয়ে গালাগাল করায়, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করায় আমি এসব কথা বলেছি। কাদের ভাইকে (ওবায়দুল কাদের) নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ, অনুযোগ নেই। তিনি আমার নেতা।