কালিগঞ্জের পল্লীতে পিটিয়ে হত্যার পরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নীলকন্ঠপুর গ্রামে ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মর্গে প্রেরণ করেছেন।
থানা ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে জানাগেছে, নীলকন্ঠপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র আবির হোসেন বাবু (২৮) কে পিটিয়ে হাত ও পায়ের নক উপড়ে ফেলে নিঃসংস্ব ভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
সোমবার (২ নভেম্বর) রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার স্বীকার বাবুর বসত বাড়ীর ১শ গজ দুরে পুকুর পাড়ে গাছের ডালে স্ত্রীর ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে হত্যাকারীরা। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) ভোরে প্রতিবেশীর বাবুর লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয় মেম্বর ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করে। খবর পেয়ে তারা সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। সকাল ৯ টায় থানার উপ পরিদর্শক জিয়ারত আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে আসেন এবং লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে উপ পরিদর্শক জিয়ারত আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন লাশের আলামতে সন্দেজনক তবে আত্মহত্যা না।
ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন বলেন বাবুকে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত পুর্বক হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া হোক। ইউপি সদস্য খলিল বলেন হত্যার স্বীকার বাবু সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বাঁশতলা বাজারে চায়ের দোকানে ছিল।
পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।