আন্তর্জাতিক ডেস্কঃকাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। এতে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জেনারেল সু কিলিয়াং ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া অংশগ্রহণ করেছেন। এরপরই ভারত নিয়ন্ত্রিত লাদাখ নিয়ে পাকিস্তান ও চীনের কার্যক্রমের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি।
সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। এ দিন চীনা সামরিক পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান পাক সেনা দফতর পরিদর্শন করেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও পাক সেনাপ্রধান একান্ত বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
জেনারেল কামার কাশ্মীর ইস্যুতে বেইজিংয়ের বোঝাপড়া এবং সমর্থনের প্রশংসা করেছেন। এ সময় চীনা সামরিক ভাইস-প্রেসিডেন্ট বলেন, পাকিস্তান হচ্ছে সময়ের পরিক্রমায় উত্তীর্ণ ও পরীক্ষিত বন্ধু।
আইএসপিআর জানায়, বৈঠকের সময় দু’দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় চীন পাকিস্তানকে সামরিক দিক দিয়ে আরও বেশি সক্ষম করে তোলার জন্য সহযোগিতা করবে।
এর আগে, চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান সু কিলিয়াং পাক সেনা সদর দফতরে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সংকট নিয়ে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে তখন থেকেই চীন ইসলামাবাদের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। এ ছাড়া, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে সেখানেও সমর্থন অব্যাহত রেখেছে বেইজিং।
এদিকে এদিন সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডের খবরে দেশটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, লাদাখের নিকটবর্তী সীমান্তের কাছে চীন-পাকিস্তান আকাশে যুদ্ধের জন্য অবস্থান নিয়েছে এবং ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) এটি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে।
চীনের জে-১০ এবং পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান আকাশে মহড়া শাহীনে অংশ নিয়েছে যেটি লেহ শহর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে হোতান শহর নামক স্থানে।
গিলগিটের বালিতিস্তান অঞ্চল থেকে পাকিস্তান যে জেএফ-১৭ বিমানগুলো স্কার্দু বিমানবন্দর অনুশীলনের জন্য নিয়ে গেছে সেগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে বিমানবাহিনী।