গোলাম মোস্তফা মন্টিঃ শুরু হয়েছে বাংলা বছরের নতুন মাস বৈশাখ। বাংলাদেশের ৭টি হাওরাঞ্চলে এখন ধান কাটার মৌসুম। এসব হাওরে এপ্রিলের শুরুর দিকেই দাওয়ালরা (ধান কাটার শ্রমিক) আসতে শুরু করেন। কিন্তু এবারে চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
করোনার প্রভাবের কারণে হাওরে আসছে না ধান কাটার শ্রমিক। শ্রমিক না আসার কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাওরের কৃষক।
কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী এ ৪টি উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলার মূল হাওরাঞ্চল। এ জেলার হাওরেও পড়েছে করোনার প্রভাব।
করোনা ভাইরাসের কারণে হাওরে শ্রমিক সংকটের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতি তনয় রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক গ্রহণ করেছেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। হাওরর ৩টি উপজেলার ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি হাওরে এবার নিজেই ধান কাটছেন।
ইতোমধ্যে তাঁর সংসদীয় আসনের মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে শুরু করেছেন ধান কাটার কাজ। একজন সংসদ সদস্যের এমন ধান কাটার চিত্র হাওর পাড়ের কৃষকদের আশার আলো দেখাচ্ছে।
এসব উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এমপি তৌফিকের এমন কার্যকমে উদ্বুদ্ধ হয়ে উদ্যোগী হয়ে তারাও কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন।
এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এর ধারাবাহিকভাবে ধান কাটা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৫ এপ্রিল) অষ্টগ্রাম উপজেলার ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অষ্টগ্রাম হাওরের দুই একর জমির ধান কেটে অষ্টগ্রাম উপজেলায় ধান কাটা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় এমপি তৌফিক বলেন, সারা বিশ্ব এখন করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত। আমাদের কৃষি নির্ভর দেশের খাদ্য চাহিদায় ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের হাওর ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এই সময়ে যদি আমার হাওরের কৃষকরা ঠিকমতো ধান কেটে ঘরে না তুলতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও বন্যার পানিতে ফসল হানি হলে দেশে খাদ্যাভাব দেখা দিবে।
তাই এ বিষয়টি চিন্তা করে ছাত্রলীগ, যুবলীগদের সাথে নিয়ে পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে এ ধান কাটা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমার হাওরের ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবার নজির সৃষ্টি করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।