অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যু ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপি। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে মানসিক নির্যাতনে শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুবরন করেছেন। সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রলীগ ও শিক্ষকরা মুখোমুখি অবস্থানে থাকা এবং দুই দফায় সিন্ডিকেট সভায় কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কুয়েট বন্ধ ঘোষনা কোন সমাধান নয়। করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেড় বছর বন্ধ থাকার পর চালুর তিন সপ্তাহের মাথায় কুয়েট বন্ধ ঘোষনা একদিকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বিঘ্নিত অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুয়েটের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের প্রভাব এবং আধিপত্য বিস্তারের কারনে দেশের অধিকাংশ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা বিরাজ করছে উল্লেখ করে। যা থেকে রক্ষা পায়নি খুলনার গর্ব খুলনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
লাঞ্ছনা ও অপদস্থের শিকার হওয়ার পর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিম হোসেনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন, তর্ক-বিতর্ক করছেন। পরে তারা তাকে অনুসরণ করে তড়িৎ প্রকৌশল ভবনে শিক্ষকের ব্যক্তিগত কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা কক্ষের ভেতর অবস্থান করে বেরিয়ে যান। পরে অধ্যাপক সেলিম হোসেন বাসায় যান। বাসায় ফেরার পর ড. সেলিম বাথরুমে যান। বেলা আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন, দীর্ঘ সময় হলেও সেলিম হোসেন বের হচ্ছেন না। এরপর দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রলীগ নেতারা ওই শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং হুমকি দেন যাতে তিনি প্রচন্ড মানসিক আঘাত পান; এক পর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি, অভিযুক্তদের আজীবন ছাত্রত্ব বাতিল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিসহ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।-খবর বিজ্ঞপ্তি