এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট থেকেঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় কৃষি কর্মকর্তার স্ত্রীর মর্যাদা পেতে উপজেলা প্রশাসন পাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক কলেজ ছাত্রী। বরিশাল উত্তর সাগরদী এলাকার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর কন্যা ও বরিশাল সরকারি (বি .এম) কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী (২৫), গত ২০,জুলাই সকালে তার দুই নিকট আত্মীয়কে সাথে নিয়ে শরনখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হন।
এ সময় তিনি ওই দপ্তরে সদ্য যোগদান কারী কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিউল ইসলামের স্ত্রীর মর্যাদা পেতে চান বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকারকে অবগত করেন।
ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, মাদারীপুর জেলার সদর থানতলি উপজেলার বাসিন্দা (অবসরপ্রাপ্ত) সেনা সদস্য আব্দুল আউয়াল মজুমদারের ছেলে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিউল ইসলামের সাথে আমার ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম (ফেসবুকে) পরিচয় হয়। তারপর থেকে আমি ওর সাথে বিভিন্ন স্থানে দেখা করি এবং বিষয়টি উভয়ের পরিবার জানে। পরবর্তীতে বিয়ে করার কথা বলে সে আমাকে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করেন । কিন্তু হঠাৎ করে ওলিউল আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এছাড়া তার পরিবারের লোকেরা নানা তালবাহানা শুরু করেন।
কিন্তু ওলি আমার জীবন-মরন তাকে ছাড়া আমি বাঁচব না। এই বিষয়টি আমি ওলিউলের কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার সহ শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে বলেছি কিন্তু তারা আমার কোন উপকার না করে ওলির পক্ষ নেওয়ায় আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছি । ওলি আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে এ ভাবে বিশ্বাস ঘাতকতা করবেন তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। এছাড়া ওই ছাত্রীর সাথে থাকা তার মামা মেহেদী বলেন , ওলিউলের প্রতারনার বিষয়টি নিয়ে (সোমবার ) রাতে (ইউএনওর) অফিসে এক বৈঠক হয়েছে কিন্তু বিষয়টি তারা আন্তরিকতার সাথে না দেখার কারনে ওলিউলের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
ওই বৈঠকের পর এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে মেয়েটি। পরে তাকে রাতে ওই শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে এক সময় আমার পরিচয় ছিল কিন্তু আমি তার সাথে কোন প্রতারনা করিনি এবং তাকে কোন প্রলোভনও দেখাইনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার বলেন, কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হিসেবে ওলিউল সদ্য আমার অফিসে যোগদান করেছেন। তবে তার সাথে ওই ছাত্রীর মন দেয়া-নেয়ার বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। ঘটনাটি জানার পর তা মিমাংশার উদ্দ্যেগ নিয়েও ব্যার্থ হয়েছি।
অপরদিকে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, উভয়ের বক্তব্য শুনে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছি কিন্তু ওলিউল ইতিমধ্যে অন্যত্র বিয়ে করে ফেলায় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ওই ছাত্রীকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।