চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃযশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পুকুর, খাল, বিল, নদী ও জলাবদ্ধ স্থান থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে চলেছে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ওই সমস্ত এলাকার বাড়িঘর, ফসলি জমি, গাছপালাসহ ভূমি ধসের আশংঙ্কা করছেন সচেতন মহল। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাসের পর মস এলাকার বড় ধরনের ক্ষতি করে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে সংশিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত শনিবার সরেজমিনে উপজেরার তেঘরী গ্রামে গেলে ওই গ্রামের কৃষকরা জানান, কেশবপুর শহরের বাসিন্দা আরমান গাজি চলতি বছর তেঘরী গ্রামের দেলঘাটা বিলে তার মৎস ঘেরের ভেতর ২ বিঘা জমি ক্রয় করে সেই জমি থেকে গত দুই মাস ধরে দাপটের সহিত অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে আসছেন। তিনি একের পর এক পরিবেশ হুমকির সম্মুখিন হওয়ার মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। উত্তোলনের পর কেশবপুর-ফতেপুর সড়কের তেঘরী গ্রামের তিন রাস্তার মোড় নামক স্থানে মজুদ করে রাখা বালি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নিকট প্রতি ফুট ১০ টাকা দরে বিক্রি করে তা পিকআপ, ট্রাক অথবা ইঞ্জিন চালিত বাহন টলি যোগে সেখানে পৌছে দেয়া হয়। এ ছাড়া তিনি ওই বালি তাঁর নিজিস্ব ইট ভাটায় ব্যবহার করছেন। আরমান গাজির ওই জমির পাশে তেঘরী গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে কৃষক মাজেদ মোড়লের ৪৭ শতক জমি, একই গ্রামের মৃত আক্কাস মোড়লের ছেলে কৃষক একিম উদ্দীনের ২৪ শতক জমি, মৃত মোবারেক মোড়লের ছেলে কৃষক আব্দুল ওহাব মোড়লের ১৬ শতক জমি, মৃত আফছার মোড়লের ছেলে মাস্টার শামছুর রহমানের ৬০ শতক জমি, মৃত ঈমান আলীর ছেলে কৃষক মতিয়ার রহমানের ১৬ শতক ও ৫০ শতক জমি, মৃত তছির উদ্দীনের ছেলে কৃষক আক্কাস আলীর ১৬ শতক জমি, মৃত মান্দার মোড়লের ছেলে কৃষক আব্দুল ওহাবের ৩২ শতক জমি, মৃত মুন্সি মোড়লের ছেলে কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের ৩০ শতক জমি জমি রয়েছে। এতে এ সব জমির মালিকরা ভূমি ধসসহ বোর আবাদ নিয়ে শংঙ্কায় রয়েছে। সঠিক তদন্ত পূর্বক অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনের আওতায় নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরমান গাজি বালি উত্তোলন করার কথা শিকার করে বলেন, মাস্টার শামছুর রহমানের ছাড়া তার জমির পাশে অভিযোগকারী কৃষকদের কোন জমি নেই।