এসএম রায়হান, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে করোনা সংকটে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে সরকারি বরাদ্ধকৃত চাল নিতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন শিল্টু আলী (৩৫) নামে এক দিনমজুর। ত্রানের চাল না দিয়ে ওই ব্যক্তি কে ইউপি চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৭এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দোড়া ইউনিয়ন পরিষদে এঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এলাকায় চাউর হলে এলাকাবাসীর মাঝে চরম সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্চিত শিল্টু দোড়া ইউনিয়নের (৫নং ওয়ার্ড) দয়ারামপুর গ্রামের ওহাব আলীর পুত্র।
দিনমজুর শিল্টু আলী জানান, ত্রানের চালের জন্য চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীনের নিকট আকুতি জানিয়েছিলাম। শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে ত্রানের চাল দেয়া শুরু হলে চেয়ারম্যান তাকে বাড়ীতে লোক পাঠিয়ে পরিষদে ডেকে নিয়ে আসেন। এবং তার আইডি কার্ড ও খাতায় স্বাক্ষর নেন। এরপর তাকে জানানো হয় সে উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট থেকে ত্রান নিয়েছে, এ কারনে সে ত্রান পাবেনা।
ত্রান না দিলে কেন তাকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে স্বাক্ষর নেয়া হলো এ কথা বলতেই চেয়ারম্যান তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে পরিষদ থেকে চলে যেতে বলেন। তা,না হলে তাকে জুতা পেটা করার হুমকি দেন।
শিল্টু বলেন, গরীব অসহায় বলে চেয়ারম্যান জনসম্মুখে আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেছে। তিনি এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরিষদের কোন বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়না।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন একবার ত্রান পেয়েছে এমন ব্যক্তিকে দ্বীতীয়বার ত্রান দেয়া যাবেনা। উপজেলা চেয়ারম্যান শিল্টু কে ত্রান দিয়েছেন আমি জানার পর সে আবার আমার কাছে ত্রানের জন্য আসায় আমি তাকে বকাবকি করেছি। ইতিপূূর্বেও চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীনের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যকে জুতা দিয়ে লাঞ্চিত করার অভিযোগ আছে।