বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রবাহ নিশ্চিত করতে বুধবার প্রথম বিতরণ তালিকা প্রকাশ করেছে কোভ্যাক্স কর্মসূচি। এতে বাংলাদেশ এক কোটি ২৮ লাখ টিকা পাবে বলে জানা গেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
২০২১ সালের মাঝামাঝিতে বিতরণ তালিকার দেশগুলোর ৩ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাকে প্রতিষেধক দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নআয়ের দেশগুলো পিছিয়ে আছে।
এ অবস্থায় সব দেশে ন্যায্যভাবে টিকা বিতরণে কোভ্যাক্স গঠন করা হয়েছে। এই কর্মসূচি থেকে ৩৩ কোটি ৭২ লাখ টিকার ডোজ বিতরণ করা হবে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে প্রথমবারের মতো সরবরাহ আসবে বলে খবরে বলা হয়।
কোভ্যাক্স জানায়, ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে সম্মিলিত জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৩ শতাংশকে প্রতিষেধক দিতে যথেষ্ট ডোজ পাবে ১৪৫ দেশ।
স্বাস্থ্যকর্মীসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের কথা মাথায় রেখেই টিকার প্রাথমিক বিতরণ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গাভি টিকা জোট ও মহামারী প্রস্তুতির উদ্ভাবনী জোটের সহ-নেতৃত্বে কোভ্যক্স কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে গাভির প্রধান নির্বাহী সেথ বেরকেলেই বলেন, শিগগিরই বৈশ্বিকভাবে প্রাণরক্ষাকারী করোনা টিকা বিতরণে আমরা সক্ষম হব। মহামারীকে পরাজিত করতে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য ছিল।
জনসংখ্যার আকারের অনুপাতে দেশগুলো করোনার টিকা পাবে। সে অনুসারে টিকার বড় অংশই যাচ্ছে ভারতে। এ ছাড়া পাকিস্তান এক কোটি ৭২ লাখ, নাইজেরিয়া এক কোটি ৬০ লাখ, ইন্দোনেশিয়া এক কোটি ৩৭ লাখ ও ব্রাজিল এক কোটি ছয় লাখ টিকা পাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয়ক অ্যান লিন্ডস্ট্রান্ড বলেন, টিকা দেয়া শুরু করেনি এমন দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।