কয়রা প্রতিনিধিঃ উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে কয়রা কপোতাক্ষ নদীর চরে ভাটা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী আজাদুল ইসলাম। তবে ঘন বসতি এলাকা, ৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাশে হতদরিদ্রদের আশ্রয়ন কেন্দ্র থাকায় স্থানীয় অহিদ সরদার উক্ত ইট ভাটা অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট করেন। জানা গেছে, রিটকারির পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃ আঃ রউফের নোটিশের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও খুলনা জেলা প্রশাসক কে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলায় দীর্ঘদিন পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুটি পক্ষ। উচ্চ আদালতের দেওয়া খুলনা জেলা প্রশাসক গত ২৬ আগষ্ট প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ১২/১২/২০১৯ অত্র দপ্তরে কয়রা উপজেলায় আজাদ ব্রিকসের নামে লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন আজাদুল হক। কিন্তু কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে আজাদ ব্রিকসের নামে কোন লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি বলে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক খুলনা। এদিকে আজাদ ব্রিকসের মালিক আজাদুল হক খোকন রিটকারি অহিদুজ্জামান কে হয়রানি করতে কয়রা সিনিয়ার জুডিশিয়াল
ম্যাজিট্রেট আদালতে ৩ টি চাদাবাজি মামলা করেছেন যাহা চলমান আছে। সূত্র জানায় সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর আজাদ ব্রিকসের মালিক আজাদুল রিটকারি অহিদের বিরুদ্ধে আরও একটি চাঁদাবাজি মামলা সাজিয়ে কয়রা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যজিট্রেট আদালতে মামলা করতে গেলে বিস্তারিত জানার পর আদালত মামলাটি আমলে নেয়নি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাইফুর রহমান খান এর আগে ১০/০২/২০২০ তারিখে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি প্রতিবদন দাখিল করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশয়ন প্রকল্প সংলগ্ন ইট ভাটা স্থাপন হওয়ায় ২০১৩
(সংশোধিত২০১৯)এর ধারা ৮ (১)(ক) ও ৮ (৩)(ঙ) উপধারা অনুসারে ভাটার অবস্থান গ্রহনযোগ্য নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। রিটকারি অহিদুজ্জামান জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে খুশি করে ইট পোড়ানোর লাইসেন্স না পেয়েও এবং উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিগত মার্চ মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত ভাটায় ইট পোড়াইয়েছেন আজাদুল হক। তিনি বলেন, এর পরেও আমার নামে ৪টি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন উক্ত আজাদুল এর মধ্যে ৩ টি মামলা আদালতে চলমান। এ বিষয় ভাটা মালিক আজাদুলের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি পত্র নিয়েই ইট ভাটা তৈরি করেছি এবং রিটকারি অহিদ আমার অনেক ক্ষতি করেছেন। এছাড়া ইট পোড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসক দপ্তর থেকে লাইসেন্স না পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছি পরিবেশ অধিদপ্তরের কথায় এবং রিটকারি ও আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা করায় আমিও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তবে এ বিষয় ২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুখ না খুললেও আশ্রয়ন প্রকল্পের অনেকেই ইট ভটা অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানিয়েছেন।