কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :: ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার খুলনার কয়রা উপজেলা ৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পৌনে দুই লক্ষ ভোটার ৭ জন চেয়ারম্যান, ২১ সংরক্ষিত মহিলাসহ ৬৩ সাধারণ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৭ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে ৬ জন প্রার্থীসহ আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন, ১নং আমাদী ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান জুয়েলের নৌকা প্রতিক ১০৪০৩ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমির আলী গাইনের আনারস প্রতিক ৫৬৯২ ভোট, ২নং বাগালী ইউনিয়নে আঃ সামাদ গাজীর নৌকা প্রতিক ১০৮৯৯ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব গাজী মোটর সাইকেল প্রতিক ৫৩৭৪ ভোট, ৩নং মহেশ^রীপুর ইউনিয়নে প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারীর নৌকা প্রতিক ৯৭১৮ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ঘোড়া প্রতিক ৪৪১৫ ভোট, ৪ নং মহারাজপুর ইউনিয়নে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নৌকা প্রতিক ১৬০৩১ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের ঘোড়া প্রতিক ১৯৯৫ ভোট, ৫ নং কয়রা সদর ইউনিয়নে এসএম বাহারুল ইসলামের নৌকা প্রতিক একটি স্থগিত কেন্দ্র বাদে ৮ টি কেন্দ্রে ৭৬৮৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে এবং নিকটতম প্রতিদ¦ন্দী আ’লীগের বিদ্রোহী রবিউল ইসলাম চশমা প্রতিক ৪৫২৯ ভোট , ৬নং উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে সরদার নুরুল ইসলামের নৌকা প্রতিক ২৮৮২ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিয়ার রহমান আনারস প্রতীক ২৬৩৪ ভোট নিয়ে এবং ৭ নং দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছের আলীর আনারস প্রতিক ৪৪১৪ ভোট এবং নিকটমত প্রতিদ্বন্দী আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী কবি শামছুর রহমান ২৪১৪ ভোট। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন অফিস বেসরকারি ভাবে সোমবার রাতেই উল্লেখিত ৭ জনের মধ্যে ৬ জন নৌকা প্রতিকের এবং ১ জন আনারস প্রতিকের প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন। এদিকে উপজেলার ৬৫ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে কয়রা সদর ইউনিয়নের ৭ নং কেন্দ্র ৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউপি সদস্যদের দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ায় বেলা ২ টায় কতৃপক্ষ উক্ত কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেছেন। উপজেলা প্রশাসন এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ভোটাররা নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।