কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :: সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে কর্মরত বন কর্মচারী আজিজুর রহমান তার স্ত্রী ও সন্তান কে ভরোপোষণ না দেওয়াসহ নির্যাতন করায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (খুকু)। শনিবার বিকাল ৩ টায় কয়রা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগে জানান, ৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে বন কর্মচারী কাশিয়াবাদ ষ্টেশনে কর্মরত অবস্থায় শরিয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিনে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের ২ বছরের মধ্যে একটি পুত্র সন্তান জন্মের পর থেকে তার স্বামী তার উপর নির্যাতন শুরু করে এবং কৌশলে যৌতুক দাবী করে। খুকু জানায় তার স্বামী বিয়ের পর থেকে খুলনা শহর, পাইকগাছা সহ বিভিন্ন ভাড়া বাড়ীতে নিয়ে সংসার করেছেন। এর পর তার স্বামী আজিজুর তার ১ম স্ত্রী ও ভগ্নীপতি মিলন ফরেষ্টারের পরামর্শে সন্তানসহ আমাকে তাড়িয়ে দেয় এবং ১ বছর আমি মায়ের সংসারে বোঝা হয়ে আছি। সংবাদ সম্মেলনে খুকু বলেন, আমি পিতৃহীন দিন মজুর মায়ের সংসারে শিশু সন্তানকে নিয়ে দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করি। এবং মাঝে মধ্যে ফোনে স্বামীকে সন্তান ও আমার কষ্টের কথা জানালে সে আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়। অবশেষে আমি কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদলতে ১৪/২/২১ তারিখে মামলা করি। আদালত দীর্ঘদিন শুনানীর পর গত ২৬ অক্টোবর আজিজুর কে জেল হাজতে পাঠায়। তিনি বলেন, আজিজুর জেলে যাওয়ার পর থেকে তার ভগ্নীপতি ফরেষ্টার মিলন ও তার আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে আমাকেসহ সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া মামলা তুলে না নিলে বাড়ী থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা প্রকাশ্যে আদালতের সামনেই আমাকে হুমকি দিয়েছিল। অপর দিকে বন কর্মচারী আজিজুর গত মঙ্গলবার জেল হাজতে যাওয়ার পর সাতক্ষীরার সুন্দবনের বুড়িগোয়ালিনি রেঞ্জ অফিসার আজিজুর কে সাময়িক বরখাস্তের জন্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নিকট কাগজ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানান।