রবিবারের আকস্মিক কাল বৈশাখী ঝড়ে কয়রায় মহারাজপুর বিলের কয়েকশ বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হওয়ায় হারিয়ে গেছে কৃষকের মুর্খেধসঢ়; হাসি। প্রবাদে আছে, শীষ দেখলে বিশ দিন অথ্যাৎ ধান গাছের শিষ বের হওয়ার বিশ দিন পর ধান কাটা যায়। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় কাল বৈশাখীর গরম ঝড়ো হাওয়ায় মহারাজপুর গ্রামের কৃষকদের আর বিশ দিন পর ধান কাটা হল না।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে উক্ত বিলের কয়েকশ বিঘা জমির বোরো ধান ক্ষেত ১০ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে সবুজের পরিবর্তে সাদা হতে দেখা গেছে। স্থানীয় কৃষকরা জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় কাল বৈশাখীর ঝড়ের বাতাশ ছিল প্রচন্ড গরম এবং উক্ত বাতাস বিলের যে এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সে এলাকার দুধ ভরা ধান নষ্ট হয়েছে। তারা আরও জানায়, সোমবার সকালে ও বুঝতে পারেনি এমনটা হবে। অতঃপর রৌদ্রের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে সবুজ ধান ক্ষেত সাদা হতে শুরু করে।
এরপর তারা ধান ক্ষেতে যেয়ে দেখতে পান দুধ ভরা ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। এ সময় মহারাজপুর গ্রামের কৃষক আঃ রাজ্জাক একজন শিশুর মত কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, তার ৪ বিঘার বোরো ধান ক্ষেত রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সবুজে ভরা ছিল এবং মাত্র ১২ ঘন্টার পর সেই ক্ষেত এখন খড় কুটোর মত সাদা দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার মত এই বিলে অনেক কৃষক লোন নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছে। কিন্তু সকাল ১০ টার পর মাঠে এ দৃশ্য দেখে অনেকের মুখে হাসির পরিবর্তে চোখের পানি ঝরছে। এ বিষয় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনর রশিদ জানান, ধান গাছে শিষ বের হওয়ার পর দুধভরা অবস্থায় ৩৫ ডিগ্রীর উপরে বাতাসের সাথে তাপমাত্রা থাকায় ধানের শিষ নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, বাতাসের সাথে অতিমাত্রায় তাপমাত্রার কারনে দুধভরা শিষের ফুল পড়ে যাওয়ায় পরদিন রোদের তাপে সম্পূর্ণ শিষ শুকিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের উক্ত এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন সরেজমিনে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্থ মাঠ ঘুরে সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৪ থেকে ৫শ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। তবে তিনিও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সুরে বলেন, অতিমাত্রায় গরম বাতাসের কারনে এমনটা হয়েছে।