কয়রা প্রতিনিধিঃ কয়রা উপজেলাধীন বাগালী ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ পোল্ডারের লালুয়া স্লুইস গেটের লোহার পাট তুলে লবণ পানি উঠানামা করায় গেটটি এখন হুমকির মুখে। একটি প্রভাবশালী মহল নদীর জোয়ারের লবন পানি তুলে চিংড়ী ঘের করার কারনে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে পাউবোর সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, অতি বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড শেওড়া মৌজার লালুয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন গাজীপুর ও দর্গাবাড়ী খালের মুখে ২ যুগ আগে গেট নির্মাণ করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী আকরাম হোসেন সানা, আসলাম সানা, আমিরুল ইসলাম সানা সহ একাধীক ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য স্লুইস গেটে লোহার পাট তুলে উপরে বেধে রেখেছে। ফলে কপোতাক্ষ নদীর জোয়ারের লবণ পানি উঠা নামায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং উক্ত পা এলাকার ৫/৬ টি গ্রামে ঢুকে পড়ছে। এ বিষয় অভিযোগকারী লালুয়া গ্রামের শেহের আলী গাজী জানান, লালুয়া স্লুইস গেটটি পানি নিস্কাশনের জন্য করা হলেও বর্তমানে স্থানীয় প্রভাবশালী আকরাম সানা এবং তার সহযোগিরা গেটের লোহার পাট উপরে বেঁধে রাখার কারনে জোয়ারের লবণ পানি অবাধে উঠানামায় এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং গেটও হুমকির মুখে। তিনি বলেন, প্রভাবশালী এসব লোকজন চিংড়ী ঘের করার জন্য উক্ত গেট ব্যবহার
করছে। এছাড়া গেট দিয়ে পানি তোলায় ভিতরে এবং বাইরে ২০/২৫ ফুট গর্ত হওয়ায় গেটটি মারাক্তক ঝুকিপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান সোমবার উক্ত গেট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলাপ করে অবৈধভাবে স্লুইস গেট
ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে সরেজমিনে গেলে গেটের লোহার পাট তুলে রাখা দেখে পাটটি নামিয়ে দেন। কিন্তু তিনি চলে আসার পর রাতের আধারে কে বা কাহারা পাট তুলে জোয়ারের
পানি তুলেছেন। তিনি বলেন ,স্লুইস গেট নির্মানে ডিজাইন করা শুধুমাত্র ভিতরের পানি নদীতে বের করার জন্য অথচ উল্টে জোয়ারের পানি ভিতরে দ্রুত গতিতে প্রবেশ করার কারনে গেটটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেজন্য গেট দিয়ে নদীর পানি যাতে অবৈধভাবে তুলতে না পারে সে বিষয় গেটের সভাপতি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে তিনি আলাপ করবেন। এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার পাড়ের সাথে কথা বললে তিনি গেট দিয়ে লবণ পানি তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকার কিছু মানুষ চিংড়ী ঘের করার জন্য গেট দিয়ে জোয়ারের লবন পানি তুলছে। তবে তিনি গেট দিয়ে অবৈধভাবে পানি তোলা কেন বন্ধ করা হচ্ছে না সে বিষয় কথা বলতে অস্বীকার করেন। তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যান কে দোষারোপ করে বলেন, গেটের সভাপতি চেয়ারম্যান অথচ সামনে নির্বাচন তাই প্রতিবাদ করছেন না।