কয়রা প্রতিনিধিঃ দরিদ্র ব্রাম্মন পরিবারের স্কুল ছাত্রী তনুশ্রী (১৪) কে জোর পূর্বক অপহরণ করার ১২ দিন পরে উদ্দার করতে পারিনি কয়রা থানা পুলিশ। ঘটনাটি কয়রা উপজেলার আমাদী গ্রামে এবং এই ব্যপারে কয়রা থানায় ও একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। জানা গেছে, আমাদী গ্রামের ব্রাম্মন তুষার কান্তি রায়ের ৮ম শ্রেণী পড়–য়া কন্যা তনুশ্রী রায় ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭ টায় পাশের বাড়ীতে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ২ টি মোটর সাইকেলে থাকা ৪ যুবক অস্ত্রের মুখে জোর পূর্বক মোটর গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। এ ব্যপারে পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর তনুশ্রীর পিতা ব্রাম্মন তুষার কান্তি বাদী হয়ে কয়রা থানায় একটি মামলা করেন যরি নং-৬ । এ বিষয় তনুশ্রীর পিতা জানান, তার কন্যা জায়গীর মহল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী এবং সে প্রতিদিন সকালে পাশে এক শিক্ষকের বাড়ীতে প্রাইভেট পড়তে যায়।
তিনি বলেন, একই গ্রামের মালেক গাইনের পুত্র আমিনুর (২২) ও তার কয়েকজন বন্ধু তনুশ্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসিতেছে। আমি বিষয়টি জানার পর আসামী আমিনুরের চাচা আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান আমীর আলী গাইন ও তার আত্মীয় স্বজনকে জানাই। কিন্তু
তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমিনুর আমার ১৪ বছরের কন্যাকে অস্ত্রের মুখে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় জোর পূর্বক অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অতঃপর আমি কয়রা থানায় মামলা করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন জানান। এবং আসামী পক্ষ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী হওয়ায় আসামীরা বিভিন্ন ভাবে আমার পরিবারের উপর হুমকী দিচ্ছে। এ সম্পার্কে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএই মিন্টু জানান, তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু গোপন রাকা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই তনুশ্রী উদ্ধার হবে এবং আসামী প্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয় আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।