কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :: কয়রার প্রত্যন্ত দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চোরামুখা গ্রামে দীর্ঘ ৩ মাস পর লক্ষাধিক টাকার চোরাই মাল উদ্দার স্থানীয় চিহ্নিত চোর বেল্লাল শেখ ও রেজয়ান জেল হাজতে। জানা গেছে, বিগত ২৬ অক্টোবর রাতে চরামুখা গ্রামের আকবর সানার বাড়ীতে কেউ না থাকায় ঘরে ঢুকে তালা ভেঙ্গে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়। এ ঘটনায় আকবর কয়রা থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি চুরি মামলা দাখিল করেন, যার মামলা নং –সি আর ৫৫৬/২১। অতঃপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২২ জানুয়ারি কাটকাটা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই তৌহিদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আছের আলী ও একাধিক ইউপি সদস্য এবং গ্রাম পুলিশ দল পাতাখালি গ্রামের হাফিজুল গাজীর বাড়ী থেকে চুরি হওয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে হাফিজুল বাড়ী না থাকায় তার স্ত্রী পুলিশকে জানায় আসামী চরামুখা গ্রামের তাছের গাইনের পুত্র শফিকুল (৩৮) শরিফুল (৪২) এবং বেল্লাল শেখ ও রেজয়ান এসব মালামাল এবং রেজয়ান তাদের কাছে বিক্রি করেছে। এদিকে এক ডজন মামলার আসামী বেল্লাল শেখ ও রেজয়ান অন্য এক মামলায় জেল হাজতে আছে। মামলার বাদী আকবর সানা জানায়, চুরি হওয়া মালের মধ্যে আড়াই ভরি সোনা ও ৩ ভরি রুপার গহনা, কাট পালঙ্ক, সৌর প্যানেল ও ব্যাটারী, গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার, জমির কাগজপত্র, সেলাই মেশিন, রাইস কুকার, পেসার কুকার, স্যালো মেশিনসহ চেয়ার, থালাবাটি, হাড়ি পাতিলসহ পারিবারিক অন্যান্য জিনিসপত্র যার আনুঃ মূল্য ২ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। এর মধ্যে খাট পালঙ্ক সহ আংশিক মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ ও চেয়ারম্যান মেম্বর। দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যন জানান, আছের আলী জানান, আসামী বেল্লাল শেখ, শরিফুল ও শফিকুল সহ অন্যান্য আসামীরা এলাকায় চুরি, ঘের দখল, লুটপাট এবং সন্ত্রাসী কার্যাকলাপে জড়িত। তিনি বলেন, আসামী বেল্লাল চািরর মাল উদ্ধারের আগেই এক ধর্ষণ মামলায় কিছুতিন আগে জেলহাজতে এবং রেজয়ান এই চুরির মামলায় পুলিষের হাতে আটক হয়। চেয়ারম্যান আরও জানান, চুরি হওয়া মাল পাতাখালি গ্রামে হাফিজ গাজীর বাড়ীতে আছে জানতে পেরে তার পরিষদের সকল মেম্বর ও গ্রাম পুলিশদের নিয়ে পুলিশ অফিসার তৌহিদুর রহমানের সাথে ২২ জানুয়ারি বিকেলে আংশিক মালমাল উদ্ধার করেছি। এছাড়া এই বেল্লাল শেখের বিরুদ্ধে ১ ডজনেরও বেশি মামলা কয়রা থানা ও আদালতে রয়েছে।