চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে খালিশপুরের শেখ আবু নাসের বিশেষাায়িত হাসপাতালের পূর্বপাশে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের পট মূল্য সরকারিভাবে বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে পট মালিকরা এ মূল্য বাড়িয়েছে অন্তত পাঁচগুণ টাকা। স্থানীয়দের ভাষ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠাসহ নানা কারণে বর্তমানে স্থানটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বেশিরভাগ প্লট হাত বদল হচ্ছে। সঙ্গতকারণেই এ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ দশকে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নগরীর খালিশপুরের শেখ আবু নাসের বিশেষাায়িত হাসপাতাল সংলগ্ন পূর্বপাশে ১১ একর জমি অধিগ্রহণ করে সংস্থাটি। এরপর দীর্ঘ সময় বিলম্ব ও ভূমি উন্নয়নসহ আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালে ৪ কাঠার ৩৯টি ও ৩ কাঠার ৯২টি অর্থাৎ মোট ১৩১ পট বরাদ্দ হস্তান্তর করা হয়। যার মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী ২৩টি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবীরা ১০, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবীরা ১২, বিদেশে কর্মরতরা ৮, মুক্তিযোদ্ধারা ৬, ব্যবসায়ীরা ১১, অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবীরা ৬, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৭, অর্থ মন্ত্রণালয় ১, ক্ষতিগ্রস্তরা ৪, বিশেষ পেশায় ৬, অন্যান্য পেশার মানুষের কাছে ১১টি পট বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া সংরক্ষিত বা রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয় ২৬টি পট বরাদ্দ। যা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজ, স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে ক্রয় করেছেন। বরাদ্দের সময় এসব পটের কাঠা প্রতিটি মূল্য ছিল ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে পটের কাঠা প্রতি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মূল্য ১২ লাখ টাকা। তবে মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে কাঠা প্রতি বেড়েছে ৫ গুণ দাম। অর্থাৎ বর্তমান প্লট মালিকদের বাজার দর অন্তত ৩০ লাখ টাকা।
দ্রুত সময়ে এত মূল্য বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আবাসিক এলাকা নির্মাণ ও প্লট বরাদ্দের পর পরই ওই এলাকার যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বিশেষায়িত শেখ আবু নাসের হাসপাতাল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর সেক্টর সদর দপ্তর, নৌ-বাহিনী ঘাঁটি (বানৌজা তিতুমীর), বিএনএন স্কুল এন্ড কলেজ, এ্যাংকরেজ স্কুল, নৌ-বাহিনী ভর্তি কেন্দ্র, নাবিক কলোনী, পুলিশ লাইন, মুজগুন্নী শিশু পার্ক, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নগরস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ফলে স্থানের গুরুত্ব অনুসারে পটের মূল্য বেড়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ পট প্রতিনিয়ত হাতবদল হচ্ছে। হাতবদলের সাথে সাথে মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুল হক মোতাইদ বলেন, ওই সময় প্লটের কাঠা প্রতিটি মূল্য ছিলো ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে পটের কাঠা প্রতি মূল্য ১২ লাখ টাকা। তবে বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা নেয়া হলে সেটি বর্তমান প্লট মালিকরা বাড়িয়েছে।