চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তিলাওয়েতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিন সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে যোগ দিয়েই নেত্রীর মুক্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল করে রাখেন নয়াপল্টন এবং তার আশপাশের এলাকা। সমাবেশ শুরুর আগেই ফকিরাপুল থেকে নয়াপল্টনমুখী সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে উপস্থিত আছেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো.শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, তিনটি ট্রাক পাশাপাশি রেখে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তার ওপর সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করে বিএনপি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে শ্লোগানে মুখরিত দলীয় কার্যালয়ের নয়াপল্টন এলাকা।
দলীয় চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এ সমাবেশের লিখিত অনুমতি না মেলায় অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার আশঙ্কা নিয়েই সমাবেশের মঞ্চ তৈরিসহ আনুসাঙ্গিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে দলটি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান বেগম জিয়া। গত দশ মাস ধরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি নেত্রী। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৪টি মামলাতেই জামিনে রয়েছেন তিনি। মুক্তি পেতে হলে তাকে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে জামিন নিতে হবে।
কারাবন্দি হওয়ার পর আন্দোলন ও আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়াকে মু্ক্ত করার ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি দলটি। দুই বছর পর আজকের সমাবেশে বিএনপি নেতারা কী ঘোষণা দেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।