চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার রিপোর্ট (প্রতিবেদন) আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে এ প্রতিবেদন তৈরি না হওয়াতে তা আজ আদালতে জমা দেওয়া হয়নি। খালেদার স্বাস্থ্যগত তথ্যের বিষয়ে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় প্রধান বিচারপতি এ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। খালেদার আইনজীবীরা অবশ্য চাচ্ছিলেন ৭ ডিসেম্বর যেন এ দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রতিবেদনসহ সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা সভা করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি তারা। এ কারণে বৃহস্পতিবার তারা আদালতে সময় প্রার্থনা করবেন।
বিষয়টি নিয়ে বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছিলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পর্যালোচনা সভা করেন। কিন্তু তার কাছে (উপাচার্যের মাধ্যমেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে) এখনও মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার আদালতে রিপোর্ট দাখিল হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাশাপাশি আজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার জামিন শুনানিও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ শুনানিতে স্বাস্থ্য রিপোর্ট জমা দেওয়ায় হৈচৈ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতিসহ ৬ জন বিচারক তাদের আসন থেকে উঠে যান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতের কাছে খালেদার স্বাস্থ্যগত তথ্যের বিষয়ে সময় চান। তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের কাছে প্রতিবেদন আছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কীসের প্রতিবেদন, ওটা ড্যাবের প্রতিবেদন। জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিএসএমএমইউর। গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া রাজার হালে আছেন।’
শুনানির এ পর্যায়ে বিএনপির আইনজীবীরা আদালতের মধ্যে হৈচৈ শুরু করেন। তবে মওদুদ আহমদসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিচারকরা তাদের আসন থেকে উঠে যান।