বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে এভার কেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার কিডনি ও হার্টের জটিলতা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। এ দুই জটিলতাতেই তিনি বেশি ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
কিডনি ও হার্টের চিকিৎসা বাংলাদেশে খুব উন্নত নয়, এজন্য তার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা।
সোমবার (১৭ মে) সকালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। তাকে এখনো কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। আবার কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন। তার ডায়াবেটিসের মাত্রা আগের মতোই আছে। তবে কিডনিজনিত কিছু সমস্যা এখনো রয়েছে।
১৪ দিন ধরে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন জানিয়ে তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হলেও অন্যান্য জটিলতায় ভুগছেন। তার পুরোনো রোগ আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আজ সোমবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন জানিয়ে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে করোনা-পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতার চিকিৎসা দিচ্ছেন।
গত ১১ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। পরে ৩ মে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।