খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল ৩০ মার্চ (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের মাল্টিপারপাস রুমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের পরপরই গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পরে অনুষ্ঠিতব্য এবারের নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, সহযোগী অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ মো. রেজাউল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. জামিল আহমেদ, প্রফেসর ড. মো. আনিসুর রহমান, প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ, প্রফেসর ড. লস্কার এরশাদ আলী, প্রফেসর ড. মো. জাকির হোসেন, প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত, প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান, প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক রহিমা নুশরাত রিম্মি, প্রফেসর ড. সেখ মো. এনায়েতুল বাবর, প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ড. চঞ্চল মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. সমীর কুমার সাধু, প্রফেসর ড. উৎপল কুমার কর্ম্মকার, প্রফেসর ড. মো. ইকবাল আহম্মেদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. শ্রাবন্তী দেব, প্রফেসর মো. সানাউল ইসলাম, প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস, সহকারী অধ্যাপক মো. নাদিমুদৌলা, সহকারী অধ্যাপক মো. আমিনূল ইসলাম, প্রফেসর ড. আবু রাশেদ মো. মোস্তাফিজার রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. ইউ এইচ রুহিনা জেসমিন, প্রফেসর ড. মো. দুলাল হোসেন, প্রফেসর ড. মো. নাসিফ আহসান, সহকারী অধ্যাপক সাজিয়া আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ সোহেল এবং প্রফেসর ড. মো. ওয়ালিউল হাসানাত।
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সর্বশেষ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালের ২০ মার্চ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২১(১) ধারার ঠ নং অনুচ্ছেদে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে পনেরজন প্রতিনিধি’ নির্বাচিত হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিগত ১৭ বছরে কোনো নির্বাচন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর সিনেট সভা নিয়মিত করণের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেন। তারই আলোকে আগামীকাল ৩০ মার্চ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।