খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন, রাষ্ট্রের নাগরিক হলে অবশ্যই কর দিতে হবে। জনগণের করের টাকা দিয়েই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। যাদের কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে, অনেকেই দিচ্ছে না। কর ফাঁকি দিয়েই অনেকে চলতে চায়। এ সিস্টেম থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নিজেদের কর দিতে হবে, অপরকেও উৎসাহী করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে কর প্রদানের কোনো বিকল্প নেই।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯.৩০ মিনিটে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে ‘ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিশন (ই-রিটার্ন) এন্ড ট্যাক্স রুলস্’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, কর ফাঁকি দেওয়া অনেক কঠিন বিষয়। এর আইনও অনেক কঠিন। আমাদের মধ্যে ধর্মীয় ভীতি থাকলে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। এছাড়াও কর প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। এই ভীতি দূর করতে হবে। দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে কর দিতে হবে। এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের অনলাইনে কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং তারা সময়মতো কর প্রদানে আগহী হবেন বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এ প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য আইকিউএসির পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, করের টাকায় রাষ্ট্র নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। এজন্য সকলকে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। কর প্রদানের ক্ষেত্রে যে ভীতি আছে, দুই-একবার কর প্রদান করলে সেই ভীতি কেটে যাবে। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা এখন থেকে নিজেদের কর নিজেরাই অনলাইনে দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী ও খুলনা জোনের উপ-কর কমিশনার মোঃ মাহবুবুর রহমান। আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. সালাউদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-রেজিস্ট্রার মো. নূরুল ইসলাম সিদ্দিকী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন খুলনা জোনের উপ-কর কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা কামাল। এ প্রশিক্ষণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ২১০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।