সুন্দরবন, জলবায়ু, ম্যানগ্রোভ, ইকোসিস্টেমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা সুবিধা এবং শিক্ষার্থীদের ইন্টারশিপের সুযোগ সৃষ্টিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আরণ্যক ফাউন্ডেশনের এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের পক্ষে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ. জেড. এম মঞ্জুর রশীদ এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। এমওইউ স্বাক্ষর শেষে তা উভয়পক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় এমওইউ স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরণ্যক ফাউন্ডেশন স্বাক্ষরিত এমওইউ প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার মাধ্যমে যৌথ গবেষণা ও প্রকাশনা, ইন্টার্নশিপ এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ, গবেষণার জন্য অনুদান সংগ্রহ এবং অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমের প্রচার করবে, যার মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, শিক্ষার্থীসহ উভয় পক্ষ উপকৃত হবেন। তিনি এই এমওইউ স্বাক্ষরের জন্য আরণ্যক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। পরে তিনি আরণ্যক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাক্ষরিত এমওইউতে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী, ইকো-ট্যুরিজম অনুশীলন এবং ইকোসিস্টেম পরিষেবাগুলির সমস্যা সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করার সুযোগ অন্বেষণ, সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে সহযোগিতা, গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম, অধ্যয়ন, প্রকাশনা বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহযোগিতা, ম্যানগ্রোভ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেম সম্পর্কিত গবেষণার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সুবিধা এবং সক্ষমতা উন্নত করতে সহযোগিতা, আরণ্যক ফাউন্ডেশন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের আদান-প্রদানের প্রচার, সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ সৃষ্টি, জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণ সম্পর্কিত যৌথ কর্মশালা, সেমিনার এবং প্রশিক্ষণ সেশন স্থাপন ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন এবং বনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সুরক্ষা বা পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে ‘আরণ্যক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ফাউন্ডেশনটি বন বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু-সহনশীল সম্প্রদায়ের উন্নয়ন, নির্গমন হ্রাস, লিঙ্গ ও বৈচিত্র্য অন্তর্ভুক্তি, বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা, নীতি সমর্থন, এবং কার্যকর যোগাযোগ ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সহযোগিতামূলক বন শাসনকে উৎসাহিত করে, বাংলাদেশের সবুজ বৃদ্ধির জন্য টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়।