চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ৩ শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ডিসিপ্লিন প্রধান বরাবর এক লিখিত অভিযোগে নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মশিউর রহমান রাজা, রাজ বর্মন বিধান, ফাহাদ রহমান অঝোর এবং সাবেরুল বাশার নিরব। তারা সবাই ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০৭ নম্বর কক্ষে রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের ওপর পালাক্রমে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় চড়-থাপ্পড়, লাথি, কানে আঘাত, চুল ধরে টানাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। একপর্যায়ে কয়েক ধাপে পা ধরে মাফ চাওয়ানো হয় এবং তার ভিডিও ধারণ করা হয়। শেষে অজ্ঞাত কাউকে দিয়ে পেটানোর এবং ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু বিচরণে বিঘ্ন ঘটানো হবে বলে হুমকিও দেন অভিযুক্ত মশিউর রহমান রাজা। এরপর থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ভীত সন্ত্রস্ত।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, গত একবছর যাবত খেলার মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে এরকম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তারা। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, অভিযুক্তরা কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ডিসিপ্লিনের এক শিক্ষার্থীকে খেলার মাঠে সবার সামনে নাকে খত দেওয়ায় ও বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে মশিউর রহমান রাজার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।
অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘ইংরেজি ডিসিপ্লিনে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা একপ্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের কাউকেই বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক এ আর এম মুস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।