করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালকে হাই-ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি) দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১৯তম শিক্ষার্থী ব্যাচ ‘রাজ-১৯’ সদস্যদের উদ্যোগে করোনা ডোনেশন ফান্ডের মাধ্যমে এ মেশিন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে খুমেক হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মেশিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
হাই-ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল ১৯ ব্যাচের সদস্য ডা. সুনীল কুমার বিশ্বাস, ডা. ফৌজিয়া বেগম, ডা. রওশন আরা শানু এবং গ্লোবাল খুলনার আহ্বায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন।
খুমেক হাসপাতালের পক্ষে মেশিনটি গ্রহণ করেন যথাক্রমে, অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল আহাদ, উপাধ্যক্ষ ও সার্বিক সমন্বয়ক করোনা ডা. মেহেদী নেওয়াজ, ডা. ফরিদ আহমেদ ও উপ পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ।
হাই-ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা বর্তমান সময়ে তীব্র ও সংকটাপন্ন শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এই মেশিন দিয়ে মিনিটে ৭০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়া যায় রোগীর নাকে ক্যানুলা দেওয়ার মাধ্যমে। তবে হাই-ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা মেশিন থাকলেই হবে না এখন সঠিকভাবে খুমেক হাসপাতালে এর সেবা দেওয়ার জন্য অক্সিজেন ট্যাংক এর প্রয়োজন।
রাজশাহী মেডিক্যালের ১৯ ব্যাচের ছাত্ররা অতীতের ন্যায় এবারও খুলনার চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে এবং সংকটাপন্ন রোগীদের বাঁচাতে যে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন এজন্য গ্লোবাল খুলনা সব খুলনাবাসীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গ্লোবাল খুলনার আহ্বায়ক বলেন, ডা. শেখ মোহাম্মদ আলীমুজ্জামান, মরহুম শেখ আব্দুল আজিজ, ডা. তোজাম্মেল হোসেন জোয়ার্দারসহ তাদের কয়েকজন উদ্যোগী হয়ে জাপানের ওসুমো ফাউন্ডেশনের সহায়তায় শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের জন্য অত্যাধুনিক মেশিনে সজ্জিত মোবাইল হাসপাতাল এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে। এই বিশেষায়িত হাসপাতালের শুরু হয়েছিল এভাবেই।