খুলনা জেলা প্রশাসনের অধীনে বটিয়াঘাটা জয়খালি এলাকায় সৈয়দপুর ট্রাস্টের ৫.৫ একর মাহেন্দ্রখালটি ইজারা গ্রহীতা বুঝে পেলো। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে দীর্ঘদিন বেদখল হয়ে যাওয়া খালটি উদ্দার করে ইজারা গ্রহীতা পিন্টু শিকদারকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
কোন প্রকার ইজারা না নিয়েই ভোগ করে আসছিলো স্থানীয় একটি মহল। অথচ ইজারা গ্রহীতা সরকারি কোষাগারে রাজস্ব দিয়েও দখলে থাকতে পারেনি। অবশেষে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বুঝে পেলো ইজারাকৃত খালটি। মঙ্গলবার সকালে ৫.৫ একর খালের সীমানা নির্ধারন লাল কাপরের নিশানা এবং মাইকিং করে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অত্র খালটি বুঝিয়ে দেন। এসময় জয়খালি দক্ষিনপাড়া সার্বজনিন কালি মন্দির কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, জয়খালি ইসলামাবাদ জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এবং অবৈধভাবে যারা খালের মাঝে পাটা দিয়েছে তাদেরকে দ্রুত অপসারন করার নির্দেশনা দেন খুলনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ দাস।
ইজারা গ্রহীতা পিন্টু শিকদার জানান, খুলনা জেলা প্রশাসক থেকে লীজ নেওয়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল জোর করে ভোগ দখল করে আসছিলো। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নির্দেশে আমি খালটি বুঝে পাই। এজন্য জেলা প্রশাসক মহাদয়কে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
উল্লেখ্য, গত ০১ সেপ্টেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বটিয়াঘাটা খুলনার দাখিলকৃত সরেজমিন পরির্দশন করেন। পরিদর্শনের আলোকে তার কার্যালয়ের স্মারক নং-৩২৯, তাং-০১.০৯.২০২০ইং মুলে একটি তদন্ত প্রতিবেদনও দাখিল করেন। তারই ধারাবাহিকতায় রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর এর নির্দেশে জয়খালি এলাকায় সৈয়দপুর ট্রাস্টের ৫.৫ একর মাহেন্দ্রখালটি ইজারা গ্রহীতা পিন্টু শিকদারকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করেন।