খুলনা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক এসএ রহমান বাবুলকে ফুলতলা থানার কথিত নাশকতার অভিযোগে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আওয়ামী আজ্ঞাবহ আদালত।
এরআগে, ওই মামলায় ফুলতলা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ আবুল বাশার, সদস্য সচিব মনির হাসান টিটো, বিএনপি নেতা এনামুল হক পারভেজ, কামরান হাসান, টিটো জমাদ্দার ও আফতাব উদ্দিন খান বিদ্যুতের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে বাকশালী আদালত। এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তিসহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। গত ৮ এপ্রিল সরকারি কাজে বাঁধা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে ১৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন এসআই রফিকুল ইসলাম। অপরদিকে, বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক বায়েজিদ হোসেনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, আওয়ামী আজ্ঞাবহ বাকশালী আদালত সরকারের লেজুড়বৃত্তি করছে। জামিন পাওয়া একজন রাজনীতিকের অন্যতম মৌলিক মানবাধিকার। আদালত এখন মানবাধিকার লঙ্ঘন করে লুটেরা ভোটডাকাত সরকারের পাহারাদারের পরিণত হয়েছে। হামলা-মামলা-গ্রেফতার আর ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু দেখিয়ে শেখ হাসিনা মাফিয়া সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। অচিরেই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে এক দফার আন্দোলন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ্।