অনলাইন ডেস্কঃখুলনা টেক্সটাইল পল্লীর ২৪টি প্লট বরাদ্দে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি। ফলে খুলনাবাসীর বহু প্রতিক্ষিত টেক্সটাইল পল্লীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মিল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নগরীর নিউ মার্কেটের পশ্চিম পার্শ্বে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কটন মিল নামে ১৯৩১ সালে ২৫ দশমিক ৬৩ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়। সেটি পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে খুলনা টেক্সটাইল মিলস্ লিঃ নামে নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ২৭ নম্বর আদেশে মিলটি জাতীয়করণের পর ১৯৯৩ সালে লে-অফ ঘোষণা করে সব জনবল বিদায় দেয়া হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে খুলনা টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০০১ পরবর্তী সরকার আমলে ওই প্রকল্প স্থবির থাকলেও ২০০৯ পরবর্তী সরকার আবারও প্রকল্পটি চালু করে। কিন্তু স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ঋণ আদায়ের লক্ষে রূপালী ব্যাংক মামলা দায়ের করে। এতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মিলের সাথে রূপালী ব্যাংকের সোলেনামা মূলে বিরোধ নিষ্পত্তির পর পুনরায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে পরিশোধও করা হয় ব্যাংকের দু’কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঋণ। ব্যাংক ঋণ পরিশোধের পর ১৮ দশমিক ২ একর জমিতে ২৪টি শিল্প প্লটে বিভক্ত করে কার্যক্রম শুরু হয়। এর বাইরে অতিরিক্ত ৪ দশমিক ৬১ একর জমি রাস্তা, মসজিদ, বিদ্যালয়, কবরস্থান, পার্ক এবং ইউটিলিটি সার্ভিসের জন্য রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিলের ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, নকশা অনুযায়ী প্লট নির্ধারনের জন্য গত ২৯ মার্চ সার্ভেয়ার নিয়োগের জন্য সর্বশেষ টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এরপর বিটিএমসির অনুমোদন সাপেক্ষে ঠিকাদার নিয়োগ শেষ করা হয়। সর্বশেষ পল্লীর ২৪টি প্লট বরাদ্দে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি। বর্তমান এ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কোন অলোচনা বা সিদ্ধান্ত হচ্ছে না।