চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর খুলেছে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস। তবে নতুন করে কোনো পাসপোর্ট আবেদনপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে না। পাশাপাশি পাসপোর্ট রিইস্যুর ক্ষেত্রে জুড়ে দেয়া হয়েছে কয়েকটি শর্ত। ফলে দীর্ঘদিন করোনাভাইরাসের কারণে কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও গ্রাহকদের হয়রানি অনেকগুণ বেড়েছে। সরেজমিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এমন ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়।
জানা যায়, রোববার অফিস খোলার প্রথম দিনেই সার্ভার ত্রুটির কারণে কোনো সার্ভিস পাননি গ্রাহকরা। নতুন করে কোনো পাসপোর্ট আবেদনপত্র গ্রহণ করছে না বিভাগীয় অফিসের কর্তৃপক্ষ। নগরীর বয়রার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কার্যালয়ের মূলফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েকজন গ্রাহক। তাদের অনেকে নতুন আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছে। কেউবা রিইস্যু আবার কেউ পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য। মূলফটকে দায়িত্বরত আছে এক আনসার এবং এক পুলিশ সদস্য। আনসার প্রত্যেক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলছেন এবং জরুরি মনে হলে শরীরের তাপমাত্রা মেপে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।
এ সময় কথা হয় শামসুর রহমান (ছদ্মনাম) নামে একজন গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি জানান, নতুন আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছেন। তবে আপাতত কোনো আবেদনপত্র জমা না নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের। যার কারণে তাকে ফেরত যেতে হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক গ্রাহকের পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার কথা গত মাসে। যাদের পাসপোর্ট চলে এসেছে তাদের মোবাইলে এসএমএস না দেখাতে পারলে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি পাসপোর্টের ডেলিভারি স্লিপ থাকলেও না।
একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন পর পাসপোর্ট অফিস খুলেছে। তবে গ্রাহকদের হয়রানি কমেনি। করোনাভাইরাসের কারণে অফিসের নিয়ম-কানুন পরিবর্তন হয়েছে। এটি ভালো। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণকে জানানো দরকার কর্তৃপক্ষের। তা হলে হয়তো গ্রাহকদের হয়রানি কমবে।
খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম খান, বলেন, নতুন করে কোনো গ্রাহকের আবেদনপত্র জমা নেয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ ছয় মাসের বেশি আছে এবং যাদের পাসপোর্টে কোনো পরিবর্তন করা দরকার ও বায়োমেট্রিক পরিবর্তন করা দরকার সেসব গ্রাহকের কার্যক্রম বন্ধ।
তিনি আরও বলেন, পাসপোর্ট ডেলিভারি যথারীতি চলছে। তবে ইমার্জেন্সি বা বিদেশ গমনকারীদের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এসব নির্দেশনা প্রধান কার্যালয়ের। আপাতত এভাবেই কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা আছে। সুত্র-যুগান্তর