চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদা থেকে কৈয়া ব্রিজ পর্যন্ত অন্তত ৩ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে সম্প্রসারিত অংশ খুঁড়া হলেও মাঝখানে পুরনো ক্ষতিগ্রস্ত কার্পেটিং-এর উপর পিচ ঢেলে নতুনভাবে কার্পেটিং করা হচ্ছে। ফলে এর স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-চুকনগর-আঠারমাইল সড়কটি ২/৩ বছর আগে বেহাল দশায় পরিণত হয়। সড়কের বেশিরভাগ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খাল-খন্দের সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু জায়গায় বিটুমিন উঠে পরিণত হয় চাষ দেয়া ফসলের ক্ষেতে। যার ফলে ব্যস্ততম এই সড়কটিতে স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘিœত হয়। ঝুঁকি নিয়ে সড়কটি ব্যবহার করতে হয় গাড়ির চালক ও সাধারণ যাত্রীদের। প্রায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। যার কারণে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জোড়াতালি দিয়ে সড়ক চলাচলের উপযোগী রাখার চেষ্টা করলেও ভারী বৃষ্টি ও গাড়ির চাকায় ফের বেহাল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য নানা মহল থেকে দাবি উঠে। যার প্রেক্ষিতে গাড়ি যাতায়াত স্বাভাবিক করতে ২৮ কিলোমিটার সড়ক পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে খুলনা বিভাগের গুচ্ছ প্রকল্পের আওতায় ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজল (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। এরপর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের পর কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমান চলছে সড়কের গুটুদিয়া ব্রিজ থেকে কৈয়া ব্রিজ পর্যন্ত অন্তত ৩ কিলোমিটার সড়ক পুনঃনির্মাণ।
স্থানীয়রা জানায়, ২/৩ বছর আগে খুলনা-চুকনগর-অঠারমাইল সড়ক বেহাল অবস্থা ধারণ করে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে গুটুদিয়া ব্রিজ থেকে কৈয়া ব্রিজ পর্যন্ত অন্তত ৩ কিলোমিটার সড়ক। ফলে সড়কের ওই স্থানে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তখন দুর্ভোগ লাঘবে সড়ক বিভাগ ওই অংশ দ্রুত সংস্কার করে। কিন্তু ২/৩ বছর আগে সংস্কার করা হলেও বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে বিটুমিন ও খোয়া ফের উঠে গেছে।
জানা গেছে দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা-চুকনগর-আঠারমাইল পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার বেহাল সড়ক পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই ৩ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশের সম্প্রসারিত অংশ খুঁড়ে সেন্ড পাইল, সাববেজ ও বেজমেন্টসহ নির্মাণ করা হলেও মাঝখানের সড়কে পুরনো কার্পেটিং-এর উপর নতুন করে পিচ ঢালা হচ্ছে। ফলে এর স্থায়িত্ব নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ খুব শিগগিরই ওই অংশ নষ্টের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশ বলেন, সড়কের ওই অংশটুকু নতুন প্রকল্পে এস্টিমেটে ধরা নেই। তবে আগে যেহেতু সড়কটুকু করা ছিলো আর এখনও ভাল রয়েছে। তাই নতুন করে খুঁড়ে করা হচ্ছে না। এতে অসুবিধা হবে না।
উল্লেখ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভোমরা বন্দর থেকে ঢাকা ও মোংলা বন্দরে যাতায়াত দ্রুত ও সহজ হবে, দুর্ঘটনা কমে আসবে, শিল্প কারখানা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে।