অনলাইন ডেস্কঃএ্যাডেনিয়াম ফুল গাছ। বৈজ্ঞানিক নাম Adenium spp। গোত্র Apocynacea. এটি ডেজার্ট রোজ নামেও খ্যাত। এ্যাডেনিয়াম বিশেষভাবে প্রশংসিত। হাউসপ্ল্যান্ট হিসেবে এটি খুবই জনপ্রিয়। এ্যাডেনিয়াম বিশ্বের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ফুল উৎপাদিত উদ্ভিদ প্রজাতি। একটি গাছে দুই রঙের ফুল ধরে। খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার এবিসি নার্সারী স্টলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সমজিৎ দাশের সাথে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান।
সরেজমিন দেখা গেছে, বৃক্ষমেলায় বৃক্ষপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। সকল বয়সী নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরা মেলায় আসছে। কেউ ফলজ, কেউ বনজ, কেউ ওষুধি আবার কেউ শোভাবর্ধনকারী বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ কিনছে। মেলায় স্টলগুলোর মধ্যে এবিসি নার্সারী স্টলে টচে সাজানো রয়েছে এ্যাডেনিয়াম ফুল গাছ। এ স্টলের সামনে দিয়ে যে দর্শনার্থী যাচ্ছেন অধিকাংশরই নজর কেড়ে নিচ্ছে এ্যাডেনিয়াম ফুল গাছ। দৃষ্টিনন্দন এ ফুল গাছ একনজর দেখার জন্য স্টলের সামনে দাঁড়াচ্ছেন বৃক্ষপ্রেমিরা। ফুল গাছটির দাম হাকানো হয়েছে আট থেকে দশ হাজার টাকা।
এ্যাডেনিয়ামের ইতিহাস : এ্যাডেনিয়াম মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে, ইয়েমেন, সুদান প্রভৃতি দেশের একটি ছোট, ঝোপালো, রসালো ফুল গাছ। এ্যাডেনিয়ামের আরেকটি নাম হলো ব্যাংকক কালাচুচি। এ্যাডেনিয়াম গাছটির অংশটি (কডেক্স) স্ফীত। বছরের পর বছর এটি টবে বেঁচে থাকতে সক্ষম। এজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একে বনসাই করা হয়। কলমে এর চাষ করা যায়। এ্যাডেনিয়ামের কিছু প্রজাতির রসে বিষাক্ত কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড থাকে। Apocynacea পরিবারের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য রসালো প্রজাতির ন্যায় এ্যাডেনিয়ামেরও দুধে সাদা আঠা রয়েছে। এই আঠা উপজাতীয় লোকজন তীরের ফলায় বিষ হিসেবে এবং জলজ প্রাণী ও মাংস নিস্তেজ করতে ব্যবহার করে। এর লাল ব্যাকগ্রাউন্ডে ফোটা সাদা তারার মতো ফুলগুলো অতুলনীয়-অনিন্দ্য। বছরে একবার ফুল ফোটে এবং ভালোমানের ও প্রচুর ফুল ফোটানোর জন্য শুষ্ক মৌসুম আবশ্যক। চারা কলমে এর চাষ করা যায়। চারা খুব ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।