চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃগত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে ১২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১১৬ জনই খুলনা। যার মধ্যে ৫ জনের ফলোআপ রিপোর্ট রয়েছে। বাকি ১১৮ জনই নতুন শনাক্ত। এছাড়া পিরোজপুর জেলার দুইজন, বাগেরহাটের দুইজন, সাতক্ষীরার একজন, গোপালগঞ্জের একজন, নওগাঁর একজন এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।এই নিয়ে খুলনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ জন। এবং মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২০০৬জন।
সোমবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাব ও খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, সোমবার পিসিআর ল্যাবে ২৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এতে খুলনা নমুনা ছিল ২৭১টি। মোট পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১২৩ টি। যার মধ্যে পাঁচজনের ফলোআপ রিপোর্ট সহ ১১৬ জনই খুলনা জেলার। এছাড়া পিরোজপুর জেলার দুইজন, বাগেরহাটের দুইজন, সাতক্ষীরার একজন, গোপালগঞ্জের একজন, নওগাঁর একজনও এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট মো. বাবর আলী ১৯ জুন খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার রাত পৌনে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নগরীর দোলখোলা এলাকার সমর দাস (৬৭) গত ২৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন, সোমবার রাত পৌনে ৮টায় তার মৃত্যু হয়েছে। জেলার ফুলতলা উপজেলার যুগ্মিপাশা এলাকার আনোয়ারা বেগম (৮৫) গত ২৬ জুন ভর্তি হন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া রাত দশটার দিকে নগরীর শান্তিধাম মোড়-এর ডাক্তার গলিতে আব্দুল হালিম (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় মারা গেছেন।খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানা গেছে, খুলনা জেলায় মোট করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০০৬ জন যার মধ্যে মারা গেছে ২৫ জন, সু্স্থ্য হয়েছেন ২৬৬ জন, বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, খুলনায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১৩ এপ্রিল। নগরীর করিমনগর এলাকার অবসর প্রাপ্ত ব্যাংকার আজিজুর রহমান।