খুলনা জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর দপ্তর থেকে জানা যায়, সিরাজুল হক খুলনা বড়বাজার এলাকার বানিজ্যিক ফোরশোর ল্যান্ড এর ১২ শতক জমির ওপর অবৈধভাবে দ্বিতল ভবন নির্মান করে সরকারের কর খাজনা না দিয়ে ২৪ বছরের অধিককাল যাবত ভোগ দখলে আছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভূমিদস্যু সিরাজুল হক রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। সরকারকে বোকা বানিয়ে সরকারী ডিসিআর সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানা বলে দাবী করে সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। যেহেতু মামলাকৃত জমির কোনো কর খাজনা গ্রহন করা যায়না। এই অযুহাতে দীর্ঘ ২৪ বছরে জেলা খুলনা, থানা খুলনা সদর, মৌজা বানিয়াখামার, এস এ খতিয়ান ৪৩৪৫, দাগ ৩১৮৮, ৩১৮৯, ও ৩১৯০ যাহার আর এস খতিয়ান নং ১, দাগ ৮৩১৩, ৮৩১৪, ৮৩১৫, ৮৩২২ এর ১২ শতক জায়গায় ইচ্ছামতো দ্বিতল ভবন নির্মান করে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে দুই যুগের বেশী সময়। যার প্রতি বছরের সরকারী রাজস্ব ২,৪২,৮২০/- টাকা, এবং গত ২৪ বছরের রাজস্ব ৫৮,২৭,৬৮০/- (আটান্ন লাখ সাতাশ হাজার ছয়শত আশি) টাকা সরকারকে ফাকি দিয়েছে। অথচ এই সম্পত্তি গত ইং ২০০০ সালে দুতরফা বিচারে জেলা প্রশাসক খুলনা বরাবর রেকর্ড হয়েছে। এরপরও সিরাজুল হক আওয়ামীলীগের নেতা বলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন কর খাজনা না দিয়ে সরকারী সম্পত্তি ভোগ দখলে রেখেছে।
জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরএম শাখার স্মারকঃ জেপ্রখু/আরএম, দেঃ ১৭৯/২০ ২-২০১৪ তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১২ এর পত্রে মোঃ সিরাজুল হক, পিতা মৃত আলহাজ্ব আঃ লতিফ, আশা স্টোর, হেলাতলা, কালিবাড়ী রোড, খুলনা-কে জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর দপ্তর থেকে জানানো হয় যে, নিম্ন তফসিল বর্নিত সম্পত্তিটি খুলনা বড় বাজার ও ভৈরব নদী সংলগ্ন ফোরশোর ল্যান্ড। মামলাভূক্ত জমি জরিপ দপ্তরের কর্মকর্তা এবং খুলনা সদর ভূমি অফিসের কানুনগো ও বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালত হতে নিয়োগকৃত উকিল কমিশনের সরেজমিন তদন্তে ইহা সরকারী সম্পত্তি মর্মে প্রমানিত হয়েছে। জরিপ আইনের ৩১ ধারার বিধানমতে রুজুকৃত ৭০৮৩/৯৯ ও ৭৭২১/২০০০ নম্বর মামলার ২৫-০৫-২০০০ তারিখের রায় সরকার পক্ষে ঘোষিত হয়েছে এবং মামলাভূক্ত জমি দোতরফা বিচারে সরকারের নামে রেকর্ড হয়েছে।
জেলা খুলনা থানা খুলনা সদর মৌজা বানিয়াখামার এসএ খতিয়ান ৪৩৪৫, দাগ ৩১৮৮, ৩১৮৯, ৩১৯০ আর এস খতিয়ান নং ১ দাগ ৮৩১৩, ৮৩১৪, ৮৩১৫, ৮৩২২ এর সম্পত্তি গনপ্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সরকারের সম্পত্তি বলে প্রতীয়মান হয়। সরকারী রাজস্ব বঞ্চিত সম্পত্তিটি সরকারের রাজস্বভূক্ত করত: অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করনের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। ছাত্র-জনতার বিজয় কোনোভাবে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।