শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে খুলনা জেলার তিনটি উপজেলার ও তিনটি থানার ২’শ ৭২ শ্রমিককে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আজ (বুধবার) বিকেলে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এসকল শ্রমিক ও তাদের সন্তান-পরিজনদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৩০ সালের আগেই শিশুশ্রম মুক্ত নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করবে সরকার। কোন শ্রমিক অসহায় থাকবে না। আর আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমি আজ ৫০ বছর শ্রমিকদের পাশে আছি। জীবনের বাকি দিনগুলো এদেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুলনার পাটকলগুলো শীঘ্রই উৎপাদনে যাবে। খুলনা একটি শ্রমঘন অঞ্চল, লাখো শ্রমিকের বসবাস। এজন্য তিনি বলেন, শ্রমিক ভাইয়েরা অসুস্থ হলে অসহায় বোধ করবেন না। আপনাদের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রমবান্ধব সরকার আছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে শ্রমিকদের আরো বেশি বেশি সহায়তা প্রদান করা হবে বলে তিনি শ্রমিকদের আশ্বাস দেন।
খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে খুলনার দৌলতপুর, খালিশপুর, খানজাহান আলী থানা, দিঘলিয়া, ডুমুরিয়া এবং ফুলতলা উপজেলার ২’শ ৬৫ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে এক কোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, দু’জন মৃত শ্রমিকের দাফনের খরচের জন্য ৫০ হাজার এবং শ্রমিকের ৫ জন মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষা সহায়তা হিসেবে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।