গেলো কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ডোবা, নালা ও ড্রেনের ময়লা উঠে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নগরীর নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
বুধবার (০৪ অক্টোবর) খুলনা নগরীর রয়েল মোড়, খানজাহান আলী সড়ক, আহসান আহমেদ রোড, মুজগুন্নী আবাসিক এলাকা, বাস্তুহারা, বাইতিপাড়া, চানমারী, লবণচরা, টুটপাড়া, মিস্ত্রিপাড়াসহ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর নতুন রাস্তা মোড় থেকে আবু নাসের হাসপাতাল মোড় ও মুজগুন্নী সড়কের অধিকাংশ রাস্তা হাঁটু পানির নিচে। বেশ বেগ পেতে হচ্ছে স্কুল-কলেজে পড়–য়াসহ সাধারণ পথচারীদের।
টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নি¤œ আয়ের মানুষরা। ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা সকালে দোকানপাট খুলতে পারেননি। গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি, অটো রিকশা ও মাহিন্দ্রর মতো পরিবহন ব্যবহার করছেন। তবে সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়েছে রিকশা ও অটোচালকরা। চাকরি টিকিয়ে রাখতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পথে বেরিয়েছেন বিভিন্ন এনজিও, সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
খালিশপুর এলাকার আব্দুস সবুর বলেন, চাকরি টিকিয়ে রাখতে গন্তব্যে পৌঁছাতে অটো রিকশায় যেতে হচ্ছে। এ সুযোগে তারা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে প্রতি গন্তব্যে পাঁচ টাকা করে ভাড়া বেশী নিচ্ছে। বিআইডিসি রোডে বাড়তি ভাড়া দিলেও এই বর্ষায় কেউ যেতেই চায় না। যার কারণে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।
মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার মো. নিউটন বলেন, আমাদের এখানে প্রধান সড়ক পানিতে ডুবে একাকার। এখানকার অনেক রাস্তা ও বাস্তুহারা এলাকা ডুবে গেছে বৃষ্টির পানিতে। বৃষ্টিতে পথে বের হতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। বাসা থেকে একবার বের হলে বাসায় ফেরা দায়। জরুরি কাজে বেরিয়ে নিরুপায় হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে গতকাল ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই বৃষ্টি থেমে থেমে আরও অন্তত ১ দিন চলতে পারে। শুক্রবার আকাশ শুস্ক ও পরিচ্ছন্ন থাকবে।