খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি এলাকার প্রধান সড়কের বেহাল দশা। বিশেষ করে বর্ষা কালে রাস্তাটিতে প্রচুর কাদা হয়। ফলে এলাকা মানুষকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজুয়া ইউনিয়নের ১নং চুনকুড়ি ওয়ার্ডের এ সড়কটি অবস্থিত। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ উপজেলা শহর চালনা বাজারে চলাচল করে প্রতি নিয়ত। রাস্তাটি পাকা না হওয়ার কারনে এখানে বর্ষা কালে প্রচুর কাদা হয়। যার ফলে এলাকার মানুষকে খুব কষ্টের সাথে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এলাকার শিশুদের এই স্কুলে যেতে হয় কাদার মধ্যে দিয়ে হেটে। তাছাড়া কেউ যদি অস্বুস্থ্য হয় তাকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগীর স্বজনদের।
চুনকুড়ি এলাকার শুভংকর রায় নামের এক ব্যাক্তি বলেন, রাস্তায় হাটু সমান কাঁদা। তারপর রাস্তার দুই পাশে যে গাছ লাগানো হয়েছে তার বেশির ভাগই কাঁটাযুক্ত গাছ। গাছগুলোর রাস্তার একেবারে পাশে লাগানোর ফলে বেশির ভাগ গাছগুলো রাস্তার ভেতরে হেলে পড়েছে। যে কারণে অনেক বড় রাস্তাটি এখন অনেক সরু হয়ে গিয়েছে। এগুলো তদারকি করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ওপর দায়িত্ব দেওয়া থাকলেও তাদের এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই। গ্রামে যে প্রাইমারি স্কুল আছে তা গ্রামের মাঝবরাবর অবস্থিত। সেখানে অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে। তারা অনেক কষ্ট করে স্কুলে যাওয়া আসা করে এই জল কাঁদার ভেতর দিয়ে। তিনি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবী জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের নিকট।
সাবেক ইউপি সদস্য জীবনান্দ মন্ডল বলেন, দেশ কত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির দিকে। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বর্তমানে। কিন্তু, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও চুনকুড়ি ১ নং ওয়ার্ড এর রাস্তার যে বেহাল দশা তা সত্যিই খুব দুঃখজনক। এলাকার মানুষের কোন কিছু প্রয়োজন হলে তাদের চালনা বাজারে যেতে হয়। চালনা বাজারে যেতে এলাকার মানুষদের হাঁটু সমান কাঁদা জল অতিক্রম করে তারপর যেতে হয়, যা এলাকার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ মোড়ল বলেন, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। চেয়ারম্যানকে একাধিকবার রাস্তাটির বিষয়ে বলেছি। কাঁদায় কেউ চলাচল করেতে পারছেনা। রাস্তাটি সংস্কার অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। আমি চেষ্টা করছি গ্রামের মাটির রাস্তায় ইটের সোলিং করার জন্য।
বাজুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মানষ কুমার রায় বলেন, খন্ড খন্ড করে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। চলতি বছরে চুনকুড়ি উত্তর পাড়া এলাকায় খেয়াঘাট থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। মেম্বারদের কিছু কিছু কাজ ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এডিপির উন্নয়ন তহবিল থেকে বাকি কাজ করা হবে। তবে বৃষ্টির জন্য কাজের বিলম্ব হচ্ছে।