প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প উদ্বোধনকালে সকলকে পানি সাশ্রয়ের বিষয়টি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের পানি পরিশোধনে যে ব্যয় তার চেয়ে অনেক কম টাকা জনগণের কাছ থেকে নেয়া হয় কাজেই পানির অহেতুক অপচয় করবেন না।
এসময় জানানো হয়, ২ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ থেকে দৈনিক ১১ কোটি লিটার পানি পরিশোধন করা সম্ভব হবে। যা স্থানীয় ৭৫ শতাংশ পানির অভাব পূরণসহ খুলনা শহরের আরো ১৫ লাখ জনগণ সেবার আওতায় আসবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, মধুমতি নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে পরিশোধনের মাধ্যমে খুলনা নগরীতে পানি সরবরাহের কভারেজ শতকরা ৯০ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ অনেক কমে গেছে। খুলনার রূপসা উপজেলার তিলক ও পাথরঘাটা মৌজায় নির্মিত এই প্লান্টে দৈনিক ১১ কোটি লিটার পানি পরিশোধন করা যাবে। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট ব্রিজ সংলগ্ন মধুমতি নদীর পাড়ে ইনটেক পাম্প হাউজ নির্মাণ, পানি ট্রান্সমিশনের জন্য ৩৬ কিলোমিটার ডাকটাইল আয়রন পাইপসহ ১৪ কিলোমিটার এইচডিপিই পাইপ স্থাপন এবং রূপসা নদীর তলদেশ দিয়ে পাইপ স্থাপন, খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাতটি ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ১০টি ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ, সকল ওয়ার্ডে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে তিন থেকে ২০ ইঞ্চি ব্যাসের সাতশত কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নগরীর ৪০ হাজার গৃহে মিটার সংযোগ দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে খুলনা প্রান্তে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ, খুলনা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহসহ মুক্তিযোদ্ধ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খুলনা ওয়াসার উপকারভোগী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। খুলনাতে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।