চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক ওয়াদদুর রহমান পান্না আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শনিবার বিকালে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। গত তিনদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন।
বিএফইউজে ও কেইউজে’র শোক
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, প্রবীণ সাংবাদিক ওয়াদুদুর রহমান পান্না ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ….. রাজিউন)। গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি নগরীর গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ফুসফুস ও হৃদপিন্ডে সমস্যার কারণে চিকিসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ভাই, বোনসহ অসংখ্য, আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক ওয়াদুদুর রহমান পান্না’র মরদেহ আজ রবিবার সকাল ১০টায় জোহরা খাতুন স্কুলে এবং ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হবে। জোহরের নামাজের পর পশ্চিম বানিয়াখামার মোড়ল বাড়ী জামে মসজিদের সামনে জানাজা এবং পরে বসুপাড়া কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
সাংবাদিক ওয়াদুদুর রহমান পান্না ষাটের দশকে সাপ্তাহিক জন্মভূমি পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি বাংলার বানী পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকায় দীর্ঘদিন বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর সম্পাদক শহীদ সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর বালুর মৃত্যুর পর তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। দীর্ঘদিন ওইপদেই তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নগরীর জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যা নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, কেইউজে’র সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর ও মহেন্দ্র নাথ সেন, সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হাসান জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য এসএম ফরিদ রানা।