চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপি করোনা আতঙ্ক। প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্তে মৃত্যুর সংখ্যা। এসময়ে মানুষের শেষ যাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে না তার নিকট আত্মীয়ের দেখা। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে আছে। কেউ পাশে আসছে না। লাশ রেখে আত্মীয় স্বজন পালিয়েছে। এমন সঙ্কটে পাশে এসে দাড়িয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে এইসব লাশ দাফন ও সৎকার করার দায়িত্ব পালন করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। দেশব্যাপী কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নানা কর্মসূচি ও পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৩জুন) সকালে করোনা সন্দেহে মৃত্যুবরণকারী নগরীর ইকবাল নগর এলাকার মো. শামসুর রহমানের (৩৫) দাফন কার্য সম্পন্ন করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খুলনা শাখা। এ কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্বতঃস্ফুর্তভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কোয়ান্টাম খুলনা শাখার প্রশিক্ষিত সদস্যরা। মৃতের বাড়ির আঙিনায় গোসল, কাফন এবং জানাজার ব্যবস্থা করে এই সংগঠনটির সদস্যরা। জানাজা শেষে নগরীর টুটপাড়া করব স্থানে তাকে দাফন করা হয়। এছাড়া গতকাল রূপসা আইচগাতি এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী শেখ আসাদুজ্জামানের গোসল, কাফন, জানাজা এবং দাফন কার্যক্রম করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খুলনা শাখার অর্গানিয়ার ও করোনা দাফন টিমের সমন্বয়ক মুস্তফা আশরাফ সিদ্দিকী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর নির্দেশনা মোতাবেক দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করছি। আমরা সৃষ্টির সেবার মানসে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে লাশ দাফনের কাজ করছি। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খুলনা শাখার ৩০জনের একটি প্রশিক্ষিত সেচ্ছাসেবক দাফন কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা, নিরাপত্তা ও সরঞ্জাম সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। দাফনসামগ্রী, নিরাপত্তা সামগ্রী, জীবাণুনাশকের যাবতীয় খরচ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বহন করছে। কেউ আতঙ্কিত বা হতাশা গ্রস্থ না হয়ে আমাদের টিমকে সহযেগিতা করুন। দাফন কার্যক্রম সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে ০১৭৪০-৯৩৯৯৯৯, ০১৯২৩-৯৯৫৫১১, ০১৭১৪-০৯৮২৫৬, ০১৮৪১-৯৩৯৯৯৯ এই নম্বরে দ্রুত তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। আপনজনেরা শেষ বিদায়ের সময় পাশে থাকুন। প্রিয়জনের উপস্থিতি আমাদেরকেও আপনাদের সমব্যাথি হয়ে কাজটি করতে অনুপ্রাণিত করবে।
করোনা সন্দেহে মৃত মো. শামসুর রহমানের মামা শশুর মো. আল-আমিন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় সে মারা যায়। তার জ্বর ছিল, সাথে অন্যান্য রোগও ছিল। তার আত্মীয়-স্বজন কেউ পাশে আসছিলনা। সবাই ভয়ে ভয়ে ছিল। কোন উপায়ন্ত না দেখে আমরা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খুলনায় ফোন করি। তারা সকালে এসে নিকট আত্মীয় মতো গোসল, কাফন, জানাজা এবং দাফনের ব্যবস্থা করে।