চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের দুর্যোগকালীন সময়ে খুলনায় খোলাবাজারে (ওএমএস) ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রয় শুরুর এক সপ্তাহ পর ১০ টাকা দরে চাল বিক্রয় করবে খাদ্য বিভাগ। ব্যাংকিং সেবা সীমিত হওয়ায় রোববার না পারলেও সোমবার থেকে এই চাল বিক্রয় শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, প্রানঘাতি করোনায় অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবেলায় খুলনা মহানগরী ও জেলায় নিম্ন আয়ের মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। ২ এপ্রিল খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নীতিমালা জারী করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী দিনমজুর, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, পরিবহণ শ্রমিক, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যসহ কর্মহীনদের এই চাল ক্রয়ের সুযোগ প্রদান করা হবে। ৩০ টাকা দরের চাল একজন ক্রেতা দৈনিক পাঁচ কেজি করে কিনতে পারলেও ১০ টাকা দরের চাল একজন ক্রেতা সপ্তাহে মাত্র একবার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাঁচ কেজি কিনতে পারবেন। ৩০ টাকা দরের চাল কেনার প্রতি খুব বেশি বিধি নিষেধ না থাকলেও ১০ টাকার চাল এক পরিবার থেকে একজনের বেশি কেউ কিনতে পারবে না। চাল বিক্রয় সময়কালীন সপ্তাহের প্রতি রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিশেষ ওএমএস’র মাধ্যমে এই চাল বিক্রয় করা হবে। খুলনায় প্রতিটি কেন্দ্রে দুই টন করে চাল বিক্রয় করা হবে। এই চাল বিক্রয়ের কেন্দ্র নির্ধারণের বিষয়েও রয়েছে বিধি নিষেধ। সচরাচর যে কোনো কেন্দ্রে এই চাল বিক্রয়ের কেন্দ্রগুলো যাতে বস্তিসহ নিম্নবিত্ত লোকজন যে এলাকায় বসবাস করেন সেখানে স্থাপন করা হয় এ বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া এই চাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বিক্রয়ের বিষয়েও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
খুলনা জেলা খাদ্য বিভাগের আওতাধীন ৮৯ জন ডিলার রয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ টাকা চাল বিক্রয়ের সময়ে সর্বমোট ডিলারের মধ্য থেকে দৈনিক ২০ জন ডিলারের মাধ্যমে ২০ টন চাল বিক্রয় করা হয়।
হাজেরা ট্রেড কর্পোরেশনের ডিলার কাজী নেয়ামুল হক মিঠু জানান, ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রয়ের সময়ে ২০টি পয়েন্ট ছিলো। ১০ টাকা দরের এই চাল বিক্রয়ের সময়ে জনগণের স্বার্থে বিক্রয়ের পয়েন্ট বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।
খুলনা মহানগর ওএমএস ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, এই চাল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কালোবাজারী ও অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তার ডিলারশীপ বাতিলের দাবি জানানো হবে। এছাড়া সেই ডিলারকে সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হবে।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ১০ টাকা দরে এই চাল বিক্রয় করা হবে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার ডিলারদের সমন্বয় করে চাল বিক্রয় করা হবে। এই চাল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।