অনলাইন ডেস্কঃজাকের পার্টির সম্পত্তিতে বহিকৃতদের জবর দখল চেষ্টা, খেদমতের নামে অর্থ আদায় ও আত্মসাতের বিরোধকে কেন্দ্র করে খুলনা মহানগর ও জেলা জাকের পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাকের পার্টি থেকে বহিকৃতদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন জাকের পার্টির নগর ও জেলা সভাপতি শেখ আনছার আলী। আর গত ১৭ জুলাই জাকের মঞ্জিলের কর্মী গ্র“পের বিভাগীয় সমন্বয়কারী গোলাম নবী মাসুম দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে জাকের পাটির নগর সভাপতি বলেন, গোলাম নবী মাসুমকে অনৈতিক কর্মকান্ড ও সংগঠন পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার কারণে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে সে সংগঠন ও দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত। অপপ্রচারের অংশ হিসেবে গত ১৭ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ সঠিক নয়; খালিশপুরের প্লাটিনাম জুটমিলের ২নং গেটের পাশে নামাজের স্থানটিতে যথারীতি নামাজ আদায় হয়। খেদমতের নামে চাঁদা আদায়ের কোন সুযোগ পার্টির দায়িত্বশীলদের নেই। জাকের পার্টি একটি নিবন্ধিত (যার নং-১৬) রাজনৈতিক দল; অথচ কর্মী গ্র“প হচ্ছে জাকের মঞ্জিলে স্বেচ্ছাশ্রমে নিয়োজিত। তারা জাকের পার্টি পরিচালনায় কোন মতামত দিতে পারে না; তাদের সাংগঠনিক কোন ভিত্তি নেই। নেই রেজিস্ট্রেশনও। মূলত, নগরীর রেলওয়ে মার্কেটের ভিতরে জব্বার মার্কেটের মধ্যে জাকের পার্টির জেলা কার্যালয়টি দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। গত ৬ মে এই পার্টি অফিস দখল করতে এসে অতর্কিত হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় পার্টির পক্ষে আদালতে তিনি একটি মামলাও করেছেন বলে জানিয়ে উল্লেখ্য করেন, এই চক্রের মূল হোতা গোলাম নবী মাসুম বিএনপি’র সাবেক মেয়র তৈয়েবুর রহমানের সাথে থাকতেন। আবার এখন ক্ষমতাসীনদের সাথে ভিড়েছে। এ প্রতারক থেকে সকলকে সাবধানে থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে পার্টির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে, গত ১৭ জুলাই একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন করে গোলাম নবী মাসুম অভিযোগ করেছিলেন খেদমতের নামে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করছেন দায়িত্বশীলরা। নানাভাবে প্রতিবাদ করলে হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানো হচ্ছে তাদের। এ বিরোধের জেরধরে যেকোন সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন উভয় গ্র“প।