‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ (রবিবার) খুলনায় জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকালে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, মুক্তিযোদ্ধা, স্বামী পরিত্যাক্তা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রচলন করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একশত ২২টির অধিক ভাতার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, কাউকে পিছনে ফেলে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান য্দ্ধুবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই অনগ্রসর, সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নেকে অগ্রাধিকার প্রদান করেন। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে একদিকে যেমন দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুর রশীদ, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান ও বীর মক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী। স্বাগত জানান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারলাইজড, জন্মগত ও হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া একশত একজন রোগীদের মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন সিটি মেয়র।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় এক লাখ আট হাজার চারশত ৬১ জনকে বয়স্ক ভাতা, ৪৭ হাজার আটশত ৭৩ জনকে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা এবং ৩৪ হাজার পাঁচশত ৭৯ জনকে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাসহ মোট এক লাখ ৯০ হাজার নয়শত ৩১ জনকে জিটুজি পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইলে এই ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারলাইজড, জন্মহত ও হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তার জন্য এপর্যন্ত দুই হাজার ৪১ জনকে দশ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অফিসার্স ক্লাবে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।