চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) এলাকায় আবাসিক প্রকল্প ব্যবসায়ীরা স্বল্প পরিমানে জমি নিয়ে নামমাত্র রাস্তা দিয়ে প্লট বিক্রিতে মেতে উঠেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে খুলনায় প্রায় ৩শ আবাসিক প্রকল্প ব্যবসায়ী রয়েছেন। কিন্তু নিবন্ধনে এ পর্যন্ত আবেদন করেছে মাত্র ১৮টি প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করাটা কঠিন বিধায় নিবন্ধনে আগ্রহ হারাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের চাহিদার মুখে কেডিএ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ট্রেড লাইসেন্স এবং প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা কেডিএকে প্রদান করে ব্যবসা করতে পারবে ব্যবসায়ীরা।
কেডিএ’র ৮২৪ দশমিক ৭৬ বর্গ কিলোমিটার আওতার মধ্যে প্রায় ৩শ রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠিান রয়েছে। যাদের কারোরই নিবন্ধন নেই। অথচ ‘রিয়েল এষ্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০’ পাশ হওয়ার ১০ বছর পার হয়ে গেলেও এ আইনকে না মেনে রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ীরা কেডিএ’র আওতায় প্লট কিংবা ফ্লাট ক্রয়-বিক্রয় করে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় আসতে একাধিকবার তলব করেছে কেডিএ। তারপরও সাড়া মেলেনি নিবন্ধনে। গতবছরের প্রথম দিকে কেডিএ ৬৮ রিয়েল এষ্টেট প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধিত হতে চিঠি প্রদান করলে এ পর্যন্ত মাত্র ১৮টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হতে আবেদন করে। কিন্তু সে আবেদনের অধিকাংশই অসম্পূর্ণ।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় কেডিএ মিলনায়তনে বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন কেডিএ কর্তৃপক্ষ। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মুকিত সরকার পিবিজিএম, এনডিসি, পিএসসি।
সকলের আলোচনা শেষে সভার সভাপতি কেডিএ চেয়ারম্যান বলেন, আপাতত আবাসিক প্রকল্প ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন করার প্রয়োজন নেই। এখন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এবং ঠিকানা আমাদেরকে প্রদান করুন। যাতে আমরা যোগাযোগ করতে পারি। আপনারা কাজ করে যান। তবে কেডিএ এলাকায় আমাদের কি পরিকল্পনা রয়েছে সেটি মেনে কাজ করার জন্য বলেন তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখেন আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মোঃ আলমগীর, সানা এন্টারপ্রাইজের আলম সানা, শিকদার আবাসিক প্রকল্পের মোঃ আছলাম শিকদারসহ কেডিএ’র কর্মকর্তাবৃন্দ।
‘রিয়েল এষ্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০’ এ বলা হয়েছে, কেডিএ’র অনুমতি ব্যতীত নীচ জমি ভরাট বা উঁচু করলে অথবা কোন প্রাকৃতিক জলাধারের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করলে ২ বছর কারাদন্ড বা ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার বিধান রয়েছে। ভূমি উন্নয়নের মাধ্যমে প্লট সৃষ্টি কিংবা ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাল্ট তৈরি ও ক্রয়-বিক্রয় করলে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদ- বা ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার বিধান রয়েছে।