খুলনায় টানা কয়েক দিন কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ার পর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আগে থেকে আবহাওয়া বার্তা ছিল হতে পারে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ভোরের আলো ফোটার আগেই আকাশে একটু একটু করে কালো মেঘ জমতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি বাড়ে। কিছুক্ষণ পরই আবার শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে ভিজে গেছে পুরো শহর। এমন পরিস্থিতিতে জবুথবু হয়ে পড়েছে খুলনার জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
খুলনার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, আমরা আগে থেকে বার্তা দিয়ে আসছি ১৮ জানুয়ারি খুলনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশে মেঘ জমার কারণে খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যেহেতু সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টি হয়েছে, তাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেলা ১২টায় রেকর্ড করা হবে। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। আগামীকাল শুক্রবারও আকাশ মেঘলা থাকবে।
তিনি জানান, খুলনায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার (১৬ জানুয়ারি)। ওইদিন সর্বনিম্ন ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ আকাশ মেঘলা থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজ খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারির পর আবারও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও মৌলভীবাজার জেলাসমূহের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিকের সই করা ওই আবহাওয়া বার্তায় সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।