বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ফ্যাসিষ্ট সরকার জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে বহু আগেই। কিন্তু আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশকে ব্যাহত করতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দুইদিনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছে এখন। এটা একটা পরিষ্কার চক্রান্ত। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগনকে ভয় পান কেনো? সমাবেশে জনগনকে আসতে দিন, কথা বলতে দিন। বিএনপি শতভাগ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়। জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায় করাই সমাবেশে মূল উদ্দেশ্য। খুলনার গণসমাবেশকে পন্ড করতে ইতোমধ্যে যশোর, বাগেরহাট, নড়াইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পাঁচজন শহীদ হয়েছেন। বিশ্বে এমন নজীর নেই; সেই রেকর্ড হয়েছে। জনগনের দাবি আদায়ের আন্দোলনে বিএনপি’র পাঁচজন নেতাকর্র্মী নিহত হয়েছেন। খুলনার গণসমাবেশের অনুমতি দেয়াকে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে জনগনের ন্যায্য দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনে সহায়তা করুন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২টায় নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন তিনি। আগামী ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সম্পর্কিত প্রস্ততির সার্বিক বিষয়ে তুলে ধরতে খুলনা বিভাগীয় বিএনপি এ প্রেসব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দুদু বলেন, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংয়ের গণসমাবেশ দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন গণসমাবেশ ঠেকাতে যেয়ে সরকারের স্বরূপ প্রকাশ পাচ্ছে। তবে বিএনপি’র গণসমাবেশে পৌঁছাতে পরিবহন কখনো নেতাকর্মীদের পথে বাঁধা হতে পারে না। সমাবেশের পূর্বরাতেই সমাবেশস্থল কানায়-কানায় ভরে যাবে এবং খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমুদ্র।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খুলনার গণসমাবেশ আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এখনো কারারুদ্ধ রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশে গণতন্ত্রকে সম্পুর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। এখন গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহন করতে হবে।
নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও জেলার আহবায়ক আমীর এজাজ খান। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আলহাজ্ব তরিকুল ইসলাম জহীর, জেলার সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু, কাজী মোঃ রাশেদ, স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, মোঃ রকিব মল্লিক, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়বুর রহমান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, আশরাফুল আলম নান্নু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, মোঃ ফকরুল আলম, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ আজগর আলী, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কেএম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, একরামুল কবির মিল্টন, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, হাসান উল্লাহ বুলবুল, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, শরিফুল আনাম, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, আব্দুর রহমান ডিনো, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মোঃ জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মোঃ আলী আক্কাস, মুজিবর রহমান, মনিরুজ্জামান লেলিন, এসএম মুর্শিদুর রহমান লিটন, রফিকুল ইসলাম বাবু, রুম্মন আজম, শামসুল বারিক পান্না, ইবাদুল হক রুবায়েত, আতাউর রহমান রনু, আজিজুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ সুমন, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, ইঞ্জিনিয়ার নূর ইসলাম বাচ্চু, শাহনাজ সরোয়ার, কাওছারী জাহান মঞ্জু, আরিফা চুমকি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম খান, মোঃ হাসান ফকির, সৈয়দ ইমরান, হেদায়েত উল্লাহ দিপু, ওয়াহিদুজ্জামান হাওলাদার, ইউসুফ মোল্লা, মুনতাসির আল মামুন প্রমুখ।