খুলনায় করোনায় কর্মহীন একশত দর্জি, দুইশত থ্রি-হুইলার চালক, ৪৩ রেল শ্রমিক, ৪৫ মাঝি এবং ৫০ জন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিতরণ করা হয়। খাদ্যসহায়তার মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম ডাল, তৈল ৫০০ গ্রাম ও একটি সাবান।
আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা রেলস্টেশন চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এই খাদ্যসাহায়তা বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা এখন ক্রান্তিকাল পার করছি। মেয়র, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা সকলের মানতে হবে। করোনাভাইরাস সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে। এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে তিনি সক্ষম ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, করোনায় যারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে পরিবারকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিটি পরিবারের পরিচয় গোপন রাখা হবে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী মজুদ রয়েছে। ত্রাণসামগ্রী স্বচ্ছতার সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সমন্বয়ে বিতরণ করা হচ্ছে। বিভাগীয় কমিশনার সকলকে অযথা বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে খাদ্যসহায়তা বিতরণে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, খুলনা শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মহানগর শ্রমিক লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মোঃ মোতালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।