খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ও মহানগর কমান্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজির দপ্তর, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, জেলা পরিষদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সিটি কর্পোরেশন, খুলনা প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, স্কুল-কলেজ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ভোর হতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
সকালে নগর ভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাদজোহর কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সকল মসজিদে শহিদদের রূহের মাগফিরাত ও দেশের কল্যাণ, শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে অনুরূপ বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা, চিত্রাংকন ও ছড়াপাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।