খুলনা অফিসঃমাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহবধু দুলু বেগম।গতকাল সোমবার খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করার পর আজ মঙ্গলবার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নগরীর গগন বাবু রোডের গৃহবধু দুলু বেগমের বাসায় গিয়ে তল্লাশীর নামে হয়রানী করে।
এ ঘটনায় দুলু বেগম খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা থানায় লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। এ ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে পরিবারটি। দুলু বেগম জানান, গত ১৩ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার স্বামী আরিফুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরর্দিশক মোসাদ্দকে হোসনেসহ ৪/৫ জনের একটি দল।পরে রূপসাস্থ কার্যালয়ে নিয়ে ফোনে জানানো হয় আপনার স্বামীকে মাদকসহ আটক করা হয়েছে।
এ সময় উপ-পরর্দিশক মোসাদ্দকে হোসনে ও এএসআই জাহানারা খাতুন তার কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় সেদিন তার স্বামীকে ১০ পিছ ইয়াবা দিয়ে সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়রে করে (নং-২৩)। এরপর তার স্বামী দু’মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হন।
এদিকে মিথ্যা মামলা, উৎকোচ দাবি ও কারাভোগের ঘটনা জানিয়ে সোমবার খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আরিফুল আলমের স্ত্রী দুলু বেগম (সরিয়িাল নং-৬৬৩)। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তার বাড়িতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক মহিলার নেতৃত্বে চারজন অভিযান চালায়।
আজ মঙ্গলবারসন্ধ্যায় খুলনা প্রেসক্লাবে এসে কান্না জড়িত কন্ঠে দুলু বেগম বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমাকে বাসায় না পেয়ে রূপসা স্ট্যান্ড রোডের নতুন বাজারে রাস্তা উপরে আমার পথরোধ করেন। তারা নিজেদের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্য পরিচয় দেন।
তবে তারা সাদা পোশাকে ছিলেন। তারা আমাকে তাদের গাড়িতে উঠাতে জোর-জবরদস্তি শুরু করেন। আমার বাবার বাড়ি থেকে নিজ বাসায় ফিরছিলাম। এ অবস্থায় আমি ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। তখন আমাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন তারা। আমি সই দিতে অস্বীকার করলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা চলে যায়।
এদের মধ্যে একজন চিৎকার করে বলে তুই ডিসি স্যারের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিস, এবার তোদের আর ছাড়া হবেনা। এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, দুলু বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলে আমাদের লোকজন গিয়েছিলো।
এ ব্যাপারে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক পারভীন আক্তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি চ্যানেল খুলনাকে বলেন, দুলু বেগম জেলা প্রশাসকের কাছে যে অভিযোগটি দিয়েছে তা সঠিক নয়, তাই আমাদের লোকজন জানার জন্য তার বাসায় গিয়েছিলো।