খুলনা মহানগরে ১৩টি এবং প্রত্যেক উপজেলায় তিনটি হিসাবে মোট ৪০টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান আগামীকাল শুরু হচ্ছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় নিজে ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
খুলনা জেলায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এক প্রেসব্রিফিং এ এসকল তথ্য জানানো হয়। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে আজ (শনিবার) আয়োজিত এই প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
মেয়র তাঁর বক্তৃতায় বলেন, এখনও পর্যন্ত যে পাঁচশতাধিক ব্যক্তিকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোন পাশর্^প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তাই এই ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে কেউ গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসাথে তিনি করোনা টিকা গ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণে রাখা এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা প্রদানে ২৪ ঘন্টার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রেসব্রিফিং এ আরও জানানো হয় খুলনায় প্রাথমিক পর্যায়ে মোট এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, যার মধ্যে ািসটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৮ হাজার ৯৬০ ডোজ। ইতোমধ্যে সকল কেন্দ্রে টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মহানগরে ১৩টি কেন্দ্রের জন্য ২৯টি টিম এবং প্রত্যেক উপজেলায় তিনটি করে মোট ২৭টি টিমকে ইত্যেমধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি টিমে দুই জন করে টিকাদানকারী এবং চার জন করে ভলান্টিয়ার কাজ করবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একশত ৫০জন হিসাবে দিনে ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে।
প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিক পনেরটি ক্যাটাগরীর লোককে এই টিকা দেওয়া হবে। এজন্য অগ্রাধিকার তালিকাভূক্ত সবাইকে জাতিয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইট বা গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘সুরক্ষা অ্যাপস’ ডাউনলাডের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। তবে ৫৫ বছরের উর্ধ্বে সকল নাগরিক নিবন্ধন করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকার প্রয়োজন নেই।
এ প্রেসব্রিফিং এ খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেএম আব্দুল্লাহ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেনসহ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কমিটির সদস্যবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।