চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃপৃথিবীতে মধুর শব্দগুলোর মধ্যে ‘বন্ধু’ একটি। যেখানে ধনী-গরিব, ছোট-বড় কোনো ভেদাভেদ নেই। বরং বন্ধুত্বের টানে বুকের সঙ্গে বুক মেলে। তাইতো বন্ধু বন্ধুই।
এই অনুভব থেকেই শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘শেকড়ের টানে মিলি বন্ধুত্বের বন্ধনে’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হলো খোকসা-জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৯৮ এসএসসি ব্যাচের পুনর্মিলনী। এতে অংশ নেয় ঈশ্বরদী, শোমসপুরসহ আরেও কয়েকটি স্কুলের বন্ধুরাও। যেন একদিনের জন্য সবাই হারিয়ে গিয়েছিল সেই স্কুলজীবনে। আর বাঁধভাঙা উচ্ছাস তো ছিলই।
খোকসা-জানিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করণ হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে সেটি করা হয় ‘খোকসা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়’। এ দিনটিতে ক্লাস সিক্সের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি পূর্ব নির্ধারিত ভেন্যু খোকসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরিবর্তন করে সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে করা হয়।
প্রথম পর্বে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষকদের দেওয়া হয় সম্মাননা। জীবন সায়ান্নে থাকা শিক্ষকরা কথা বলতে বলেতে আবেগের জগতে চলে যান। এর পরই যেসব শিক্ষক-শিক্ষার্থী পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিলে অংশ নেয় সবাই।
অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— সুলতান আলী, তোয়াক্কেল হোসেন, কেস্টো সরকার, মাহবুবুর রহমান ও রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
শিক্ষকদের সাথে ব্যাচ ৯৮ এর সদস্যরা
এরপর খোকসা কলেজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা বিভিন্ন সড়ক ঘুরে খোকসা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ১৯৯৮ এসএসসি ব্যাচের বন্ধুরা স্কুল মাঠে ছবি তোলায় মেতে ওঠে, আর হারিয়ে যান অতীত সেই শৈশবে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল বন্ধুদের আড্ডা এবং তাদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিছুক্ষণের জন্য হলেও সবাই নেচে-গেয়ে সেই ছেলেবেলার জীবনে ফিরে যান তারা।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে এলাকার অসহায় মানুষের কল্যাণমূলক কিছু ভালো প্রস্তাব দেয় অনেকেই।
এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবছরই এলাকার অসহায় মানুষের কল্যাণ ও সকল শুভ কাজের সঙ্গে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন খোকসার ব্যাচ ‘এসএসসি ৯৮’।